লালমনিরহাটে কালবৈশাখী ঝড়ের ছোবলে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ঘরবাড়ি। তিন উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এ ঝড়ে ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে কয়েক শত হেক্টর ইরি ধান।
বৃহস্পতিবার রাতে জেলার কালীগঞ্জ, পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধায় এ কালবৈশাখী ঝড়ে বয়ে যায়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে উপর দিয়ে বয়ে যায় কাল বৈশাখী ঝড়ে। এতে ২০/২৫টি ঘর বাড়ি ভেঙে গেছে।
এছাড়াও থেমে থেমে চলা শিলাবৃষ্টিতে উঠতি ধান, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়েছে। আধাপাকা ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড বেগে আঘাতহানা ঝড়ে ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। উপড়ে গেছে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি ও তার। এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তিস্তা চরাঞ্চলগুলোতে। সেখানে ভুট্টা চাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। ঝড়ের কারণে লালমিনরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
মদাতী ইউনিয়নের বাসিন্দা নুর আলম জানান, মদাতী ইউনিয়নের বেশিভাগ গ্রামের অনেক ঘর ঝড়ে ভেঙে পড়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা। ক্ষতি হয়েছে ফসলি জমি।
কালীগঞ্জ উপজেলার কৃষক মিজানুর রহমান জানান, চরাঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়ি ক্ষতি হয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে প্রাথমিক জানা যায়নি।
লালমনিরহাট কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বিদ্যুৎ ভূষণ রায় বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে শিলাবৃষ্টিতে ধান ও ভুট্টাসহ সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তবে তালিকা তৈরির জন্য মাঠে কৃষি উপসহকারী পাঠিয়েছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করতে ইউএনওকে পাঠানো হয়েছে। তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্ত্র পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।