ঢাকা: দীর্ঘদিন ধরে কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করা সত্ত্বে ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা, বিভিন্ন প্রকল্পে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নির্ধারিত হারের চেয়ে কম ভ্যাট আদায়, এক প্রকেল্পের টাকা অন্য প্রকল্পে ব্যবহার করাসহ একাধিক আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে ১২৪ কোটি ৫৮ লাখ ৬৬ হাজার ২৪৪ টাকার অডিট আপত্তি দিয়েছে মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের দপ্তর।
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে সংঘটিত এসব অনিয়ম ও অডিট আপত্তি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সুপারিশ করেছে।
সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উত্থাপিত অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এই সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও বিরোধী দলের সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজী।
কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মো. আব্দুস শহীদ, মো. আফছারুল আমীন, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জহিরুল হক ভূঁঞা মোহন, মনজুর হোসেন, আহসানুল ইসলাম (টিটু) ও ওয়াসিকা আয়েশা খানম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের ২০১২-১৩ অর্থবছরের হিসাব সম্পর্কিত ২০১২-১৩ সালের অডিট রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়। দীর্ঘ দিনের এই অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি না করায় বিষয়টিকে অনিয়ম হিসেবেই দেখছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজী সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছি, সেই সময়ের মধ্যেই টাকা আদায় করতে হবে। দীর্ঘদিন সরকারি টাকা অনাদায়ী থাকবে, এটা হতে দেব না। এর মধ্যে কিছু টাকা আদায় হয়েছে। বাকিগুলো আগামী এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার কথা বলা হয়েছে। ’
কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখে নিখোঁজ গ্রাহকদের কাছ থেকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৫৩ টাকার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এছাড়া বৈঠকে অনুমোদিত লোডের অতিরিক্ত লোড ব্যবহার করা সত্ত্বে ও ট্যারিফ বিধি মোতাবেক বিল প্রস্তত ও আদায় না করায় এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।