কয়েক দিন আগে সাকিব আল হাসান নিজেই জানিয়েছিলেন যে বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টির চলতি আসরে তাঁর দল চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এত দিনে সব ঠিকঠাক হয়েও গেছে। সেই খবর যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানাননি। তবে অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এ ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনাপত্তিপত্র (এনওসি) চেয়েছেন তিনি। সে খবর নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মেলবোর্ন রেনিগেইডসের হয়ে খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় উড়াল দেবেন টেস্ট এবং টি- টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
বিগ ব্যাশে খেলবেন সাকিব
কিছুদিন আগে বিসিবি তাঁর বিদেশি লিগ খেলার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়ায় সাকিবের এনওসি পেতে কোনো বাধা নেই। অবশ্য তাঁকে সেটি দেওয়ার আগে কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহের সঙ্গেও কথা বলে নিতে চায় বিসিবি। ১৮ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়িয়ে যাওয়া বিগ ব্যাশের ফাইনাল আগামী ২৮ জানুয়ারি। এর চার দিন আগেই ১৫ দিনের অনুশীলন শিবিরের জন্য ব্রিসবেনের পথে ঢাকা ছাড়ার কথা বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের। আর সাকিব অস্ট্রেলিয়া থেকেই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার অনুমতি চেয়েছেন। সেটি তাঁকে দেওয়া হবে কি না, হাতুরাসিংহের সঙ্গে শলাপরামর্শ করেই তা ঠিক করতে চায় বিসিবি। প্রধান নির্বাহী বলেছেন তেমন কথাই, ‘সাকিব দেশে ফিরে দলের সঙ্গে যাবে নাকি অস্ট্রেলিয়াতেই অনুশীলন শিবিরে যোগ দেবে, সে বিষয়ে আমরা আগে হেড কোচের সঙ্গে কথা বলে নিতে চাই।’
হাতুরাসিংহের সঙ্গে কথা বলে নেওয়াটা নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর আগে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলে সেখান থেকেই সাকিবের বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে যোগ দেওয়ার দাবি জাতীয় দলের কোচ না মানায় দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয়েছিল। সাকিবকে ছয় মাসের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত বিসিবি নিয়েছিল, তাতে কোচের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেওয়ারও বড় ভূমিকা ছিল। বিশ্বকাপ যখন সামনে এবং সেটি অস্ট্রেলিয়াতেই, তখন হাতুরাসিংহে ছাড় দেন কি না, সেটিই দেখার। বিগ ব্যাশের গত আসরে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারসের হয়ে খেলা সাকিব জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেলে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের অনুশীলন শিবিরেও যোগ দেওয়া হবে না তাঁর। আগামী ৪ জানুয়ারি প্রিমিয়ার ক্রিকেটের সুপার লিগ শেষে বিশ্রামে যাবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এরপর ১২ জানুয়ারি থেকে বিশ্বকাপ দলের অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা।