আকরাম হোসেন: শোষনের বিরুদ্ধে শোষিত মানুষের অধিকার আদায়ে ঐতিহাসিক সংগ্রামের দিন টাই হচ্ছে মহান মে দিবস। সকল শ্রমজীবি মানুষের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও লাল সালাম নিবেদন করছি এই লেখার মধ্য দিয়ে।
১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে হাজির হয়েছিল লক্ষ – লক্ষ মানুষ। নিরস্ত্র শ্রমজীবী মানুষের উপর অস্ত্র ধারী পুলিশের হামলায় নিহত হয়েছিল আমার- ই ৫ জন কর্মজীবী বীর শ্রমিক ভাই। সেই থেকে আজ পর্যন্ত আমরা পহেলা মে দিবসে আমরা আমাদের দাবি নিয়ে দিনটিকে পালন করে আসছি। কিন্তু আজ ও কি আমরা পেয়েছি আমাদের ন্যায্য৷ অধিকার? আমাদের দাবি অপুরনই রয়ে গেল। এখনো এমন কোনো রজনী নেই যে শোষন বঞ্চনা অমানুষিক নির্যাতন পোহাতে হচ্ছে না আমাদের। মালিক গোষ্ঠী আজও আন্তরিক হতে পারে নি।এই ব্যর্থতার দায় কার? শ্রমিকদের ন্যা্য্য অধিকার পাওয়া করুণা নয় এটা তাদের অধিকার। শ্রম দিয়ে যারা শ্রমের মুল্য পায় না তারাই জানে জীবন সংগ্রামে বেচে থাকার লড়াই কতো কষ্টের।
আজ আপনাদের কাছে আমার জিগ্যাসা, আমি কেন শ্রমিক? আমি ও তো মানুষ। প্লিজ আমাকে তোমরা মানুষ ভাবো।আমাকে মানুষ ভাবলে তো তোমাদের কোনো ক্ষতি নেই।
পহেলা মে দিবসে সকল শ্রমিকদের প্রতি আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আগামী দিন গুলি হোক শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার দিন। আমরা কাজ চাই এবং কাজের যথাযোগ্য মর্যাদা চাই। আমরা কি আমাদের যথাযোগ্য মর্যাদা পাচ্ছি? আমরা চাই শোষণ মুক্ত নিপীড়ন নির্যাতন মুক্ত শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কর্মক্ষেত্রে। এটা হোক আমার আপনার সকলের অঙ্গিকার।আমরা খাদ্য বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও মানবিক অধিকার চাই। আমরা আজ ও তাজরীন গার্মেন্টস আর রানা প্লাজার দুর্ঘটনার স্মৃতি বুকে বহন করে বেড়াচ্ছি। চলে গেছে আমার ভাই আমার বোন। পেরেছেন কি ওদের কে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিতে? পারেন নি। মনে রাখবেন জুলুমের বিরুদ্ধে মজলুম এর জয় হবেই একদিন। দুনিয়ার মজদুর এক হও লড়াই করো।
এই স্লোগান ই হোক আমাদের অধিকার আদায়ের অঙ্গিকার। মহান মে দিবস সফল হোক।