রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে গভীর রাতে বিদ্যালয়ে আগুণ লাগিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে ১৫ টি প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রাস্তায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেছে।
মাওনা চৌরাস্তা প্রাইভেট স্কুল এসোসিয়েশনের আয়োজনে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার মাওনা ফুলবাড়িয়া রোডে এ মানববন্ধন পালন করেছেন। এতে বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেন, মোহাম্মদ আলী মাস্টার একাডেমী, মিজান মডেল একাডেমী ও কে এস ক্যাডেট একাডেমীসহ মোট ১৫টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক ও সুধী সমাজ শিক্ষাঙ্গণে আগুণ সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান।
উল্লেখ্য শ্রীপুরের প্রাণকেন্দ্র মাওনা চৌরাস্তায় অবস্থিত উপজেলার সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনে ২৯ তারিখ গভীর রাতে দুর্বিত্তরা ভবনের ভিতরে ঢুকে ভাংচোর ও আগুণ লাগিয়ে দেয়। এতে প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় কাগজসহ ৭/৮ লাখ টাকার দামী আসবাবপত্র পুড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে নেশাগ্রস্থ জহিরুল ইসলাম জয় নামের একজনকে পুলিশ আটক করলেও এর পিছনের দুস্কৃতিকারীদের কাউকে খোঁজে বের করতে পারেনি এখনো।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র জুয়েল রানা ভীত কণ্ঠে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসীরা পুড়িয়ে দিছে। পরীক্ষার খাতাও পুড়িয়ে দিছে। এখন আমাদের রেজাল্ট কিভাবে দিবে?
বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের পরিচালনা পরিষদের সা.সম্পাদক সামসুল হক বিএসসি বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে রয়েছে। কবে ক্লাস শুরু করবো বলতে পারছি না। আমরা এর বিচার চাই।
মাওনা চৌরাস্তা প্রাইভেট স্কুল এসোসিয়েশনের সভাপতি সাহাবুদ্দীন ফরাজী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগুণ, এ জাতি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছে কী জবাব দিবে ? অনতিবিলম্বে এর বিচার হতে হবে অন্যথায় আমরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
শ্রীপুর থানার ওসি ( তদন্ত) শেখ সাদী বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছি। এর পিছনে কেউ থাকলে তাকে দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।