আকরাম হোসেন, গাজীপুর: নদী মাতৃক বাংলাদেশ কথাটি সত্য। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য নদ নদী। এই নদ নদী নিয়ে অনেক কবি সাহিত্যিক লিখেছেন কবিতা, গল্প, ছড়া প্রবন্ধ। কিন্ত আজ নদ নদী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে কিছু লোভী স্বার্থান্বেষী মানুষের ব্যাক্তি স্বার্থের কাছে। সারা দেশের নদ নদী গুলির একি- ই অবস্থা। এই দখলদার স্বার্থান্বেষীদের হাতে দেশের সবচেয়ে ক্ষতি গ্রস্ত জেলার নাম গাজীপুর। চিলাই নদীর তীরে গাজীপুরের জয়দেবপুর শহরটি অবস্থিত। শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে কাপাসিয়ার উপজেলা শহর,শ্রীপুর উপজেলার বরমী বাজার। তুরাগ নদীর তীরে গাজীপুরের টঙ্গী, কামার পাড়া,বৌ বাজার অবস্থিত। এই নদী গুলির সব গুলি নদী- ই মৃত প্রায়। এর মধ্যে চিলাই নদীর দখলের মাত্রা ৮০ শতাংশই দখলদারদের হাতে।
গাজীপুরের নদী বাঁচাও কমিটি, পরিবেশ ও বন বাঁচাও কমিটি, ভাওয়াল গড় বাঁচাও আন্দোলন এর নেতা কর্মীরা বিভিন্ন সময়ে রাস্তায় নেমে চিতকার করলেও বা বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করলেও কোনো সুফল পাওয়া যায় নি।বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির ডাস্ট, এবং পচা দুর্গন্ধ যুক্ত পানি গাজীপুরের সকল নদীর পানিকে বিষাক্ত করেছে। এ ছাড়াও গাজীপুরের সিটি কর্পোরেশনের পয়নিস্কাশন ব্যবস্তা সম্পুর্ন ই অপরিকল্পিত। নগরায়ন এর সুবিধার্তে যে পরিকল্পনা দরকার ছিল তার ধারে কাছেও পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্তা নেই। সকল নিষ্কাশনের মুখ নদী কেন্দ্রীক, যে কারণে নদী ও নদীর পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পরেছে।যেখানে আগে নদীতে ছিলো মাছ,আর আজ সেই নদীতে সাপ,ব্যাঙ ও বসবাস করতে পারে না। বর্তমান সময়ে গাজীপুরের আপামর জনতার দাবি নদীর সীমানা পিলার নির্ধারণ করে, নদী খনন করার মাধ্যমে ঐতিহাসিক গাজীপুরের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হোক।দখলদারত্বের হাত থেকে নদী বাঁচাতে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।