আকরাম হোসেন: গাজীপুর জেলা ঢাকা শহরের খুব নিকটবর্তি জেলা। ঢাকা হতে রংপুর দিনাজপুর রাজশাহী খুলনা এবং ময়মনসিংহ যাবার ট্রেন লাইন টি গাজীপুরের জয়দেবপুর জংশন হয়ে যাওয়া আশা করে।এছাড়া বাস বা পরিবহনের গাড়ী গুলি গাজীপুরের চন্দ্রা ও গাজীপুরের চৌরাস্তা হয়ে আশা যাওয়ার কারনে এই এলাকা মাদক পাচারের একটি অন্যতম রুট হিসাবে ব্যাবহার হয়ে থাকে।গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া হবার কারনে বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবি মানুষ গাজীপুরে স্থায়ী এবং অস্থায়ী ভাবে বসবাস করে থাকে।
এদের বেশির ভাগই দরিদ্র সিমার নিচে বসবাসকারী মানুষ। এই সকল মানুষদের কে প্রভাবিত করে এক শ্রেণির মাদক কারবারিরা গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দু একজন বন্দী হলেও আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যায়।কেউ কেউ সাজাপ্রাপ্ত হলেও মুল হোতা বা মুল মাদক পাচারকারী ধরাছোঁয়ার বাহিরেই থেকে যায়।এবং সুযোগ বুঝে তারা আবার নতুন মাধ্যম দিয়ে মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করতে সচেষ্ট হয়ে ওঠে। এ সকল মাদক কারবারির মাধ্যমেই গাজীপুরের যুব সমাজের কাছে খুব সহজেই মাদক পৌঁছে যাচ্ছে। এবং যুব সমাজ মাদক সেবনসহ মাদক পাচারের মত অপরাধের সহিত জরিয়ে যাচ্ছে। এ সকল মাদকাসক্ত যুব সমাজ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যকলাপে জরিয়ে পরেছে।বিভিন্ন সময়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিনতাই করা এবং স্কুল কলেজের মেয়েদের ইভটিজিং করাটাই তাদের মুখ্য কাজ হয়ে উঠেছে।
অনেক সময় সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে উঠলেও রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় মাদকাসক্ত যুব সমাজ কে সঠিক পথে ফিরে আনা সম্ভব হয়ে ওঠে না।এমতাবস্থায় গাজীপুরের আমজনতা উদ্বেগ উৎকন্ঠাই ভুগছেন তাদের যুব সমাজ কি সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারবে, নাকি মাদকের থাবাই ধ্বংস হয়ে যাবে ঐতিহ্য বহন কারী গাজীপুরের যুব সমাজ? গাজীপুরের যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে বাঁচাতে হলে এক্ষুনি সমাজ ব্যবস্তার আমুল পরিবর্তন আনতে হবে। এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা কামনা করছি।