শ্বশুরবাড়িতে বাজিমাত ৬টি উপায়ে

লাইফস্টাইল

image_110852_0নিজের বাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে থাকা- এটা ভাবলেই অনেক বিবাহিত মেয়েরই চোখে পানি আসে। শুধু তাই নয়, একরাশ রাগ-বিরক্ত নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের সঙ্গে মেলামেশা, মুখে একগাল হাসি নিয়ে সব কথা সহ্য করে চলা- সবই যেন একই গড়পরতায় হেঁটে চলা। সে আপনি চাকুরিজীবী হোন বা না হোন, সবক্ষেত্রেই একই ‘চাপ! এর থেকে মুক্তি পেতে যদি শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে হাতের মুঠোয় এনে ফেলে যায়! ভাবছেন কিন্তু কীভাবে? এর জন্য আছে সহজ পাঁচটি টিপস…

তোমাদেরই জন্য…
নিজের পছন্দের কিছু উপহার কিনে এই কথাটি শ্বশুর বা শ্বাশুড়িকে এই কথাটি বলুন। খুশিতে আত্মহারা তো হবেনই, সঙ্গে সঙ্গে আপনি হয়ে যাবেন ওনাদের চোখের মণি। দামী কিছু দিতে হবে তা কিন্তু নয়, জেনে নিন, তারা কেমন জিনিস পছন্দ করেন। সেইমতো উপহার কিনুন।

সমস্যার সমাধান করুন…
নিজের বাড়ির বাজে সময়গুলিতে মা-বাবার পাশে যেমন থেকেছেন, তেমনি শ্বশুর-শ্বাশুড়ির যেকোনো সমস্যার কথা কানে এলে তা এড়িয়ে যাবেন না। তাতে দুরত্ব বাড়ে। বেশি কিছু নয়, আগে সমস্যার কথা মন দিয়ে ভালো করে শুনুন। যদি আপনি সমাধানের পথ দেখাতে পারেন, তবে খুব ভালো। নাহলে স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করুন।

যেমনটি আছেন তেমনটিই থাকুন…
নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করবেন না। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেকক্ষেত্রে নিজেকে বদলাতে বাধ্য হতে হয়। নিজেকে না বদলেও শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে ম্যানেজ করা যায়। অফিস থেকে বেরোতে দেরি হলে প্রথমেই কল করুন শ্বাশুড়িকে। একদিন পরিবারের সকলে মিলে ডিনার সারুন বাইরের কোনো রেস্তোরাঁয়। বাড়িতে যতটুকু থাকবেন শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে সময় দিন। নিজের জন্য কখনও জিনিস কিনলে শ্বাশুড়িকে নিয়ে যান, তার পছন্দমতো জিনিস কিনুন।

মিলেমিশে থাকুন…
পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়ে গোমড়া হয়ে থাকবেন না। অভিবাদন, একটু হাসি, কিছু কথাবার্তার চলার পরই দেখবেন আপনি সকলের মন জয় করে ফেলেছেন। আজকাল সময়ের অভাবের জন্য পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সঙ্গে দেখা হয়ে উঠে না। ফলে পারিবারিক যেকোনো অনুষ্ঠানে সকলের সঙ্গে দেখা হওয়ায় খুব আনন্দের বিষয়। সদ্য বিবাহিতা যারা, তারা শ্বশুরবাড়ির অনেক সদস্যকেই চেনেন না। তা বলে কতা বলবেন না, তা কিন্তু নয়। সম্মান দিয়ে একটু হেসে কথা বললেই আপনি হিট।

ভবিষ্যৎ  নিয়ে কথা বলুন…
বিয়ে করার প্রথম দিন থেকেই শ্বশুরবাড়িতে একটাই কথা চলে, নতুন সদস্য কবে আসছে? এই কথা শোনার পর আরও বিরক্ত চলে আসে লোকজনের ওপর। কিন্তু আপনি এতে রাগ না করে শ্বাশুড়ির সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে কথা বলে নিন। এছাড়া ননদ বা দেওর থাকলে তাদের কেরিয়ার, পড়াশোনা বা বিয়ে প্রসঙ্গে সকলে মিলে আলোচনা করুন।

প্রথম দিনেই বাজিমাত…
বিয়ের পর দিন সদ্য বিবাহিতাকে শ্বশুরবাড়িতে কেউই তেমন কাজ করতে দেন না।তবে মনে রাখবেন, এখানেই আপনাকে বাজিমাত করতে হবে। শ্বশুর-শ্বাশুড়ির জন্য এক কাপ গরম কফি বা চা করে এগিয়ে দিন। হাতে কাজ না থাকলে বাড়ির অগোছালো জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখুন। বিয়েতে পাওয়া জিনিসপত্র শুধু নিজের ঘরের জন্য নয়, গোটা বাড়িতেই সাজিয়ে রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *