ঢাকা: ফাহমিদা হক লাবণ্য। পড়তেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষে। ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার হরিপুরের লাবণ্য পরিবারের সঙ্গে শ্যামলীর তিন নম্বর রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। পরিবারের সবার ছোট লাবণ্য, ছিলেন আদরেরও। অন্যান্য দিনের মতো গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন তিনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর যাওয়া হয়নি তার। দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পাশের সড়কে কাভার্ড ভ্যান চাপায় মারা যান তিনি।
অ্যাপ ভিত্তিক ভাড়ায় চালিত একটি মোটরবাইকে চড়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন।
কাভার্ড ভ্যানটি ওই বাইককে চাপা দিলে লাবণ্য গুরুতর আহত হন। তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। জানা যায়, অ্যাপসভিত্তিক একটি রাইড শেয়ারিং মোটরবাইকে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে শ্যামলী থেকে রওনা হয়েছিলেন লাবণ্য। দুর্ঘটনার পর পর কাভার্ড ভ্যানটিও পালিয়ে গেছে। এছাড়া এ ঘটনায় মোটরবাইকের রাইডার সুমনও বেশ আহত হয়েছেন। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান তিনি। এমনকি তার প্রেসক্রিপশনটিও গ্রহণ করেনি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রবীণ রঞ্জন ধর মানবজমিনকে বলেন, কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটলো সেটি কেউ বলতে পারছে না। আশপাশে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই। আমরা কারণ জানার চেষ্টা করছি। তবে কয়েকজন বলেছেন, একটি দ্রুতগতির কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে ‘৯৯৯’ এ ফোন করে বলা হয়, দুর্ঘটনায় আহত দুইজন তাদের হাসপাতালে এসেছে। সেখান থেকে থানায় ফোন করা হলে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। গিয়ে আশপাশের অনেকের সঙ্গে কথা বলা হয়। তবে কেউই ঘটনাটি নিজ চোখে দেখেনি। আশপাশে যেসব সিসিটিভি ক্যামেরা আছে সেগুলো ঘটনাস্থল কাভার করে না। তবে যারা বলছেন কাভার্ড ভ্যানের কথা তারাও শুনেছেন বলে জানান। পুলিশ হাসপাতালে যাওয়ার আগেই মেয়েটির মৃত্যু হয়।