রবগুনার তালতলীতে স্বামীর দাবিকৃত যৌতুক দিতে না পারায় স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে নির্যাতন ও রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগে পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে স্ত্রী আসমা (২৬) বাদী হয়ে স্বামীসহ তিনজনকে আসামী করে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছে।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান বুধবার সকালে মামলাটি গ্রহণ করে তালতলীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। মামলার আসামিরা হলো, বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার মৃত কাজি চাঁদ মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম সাগর।
সাগরের মা নুরজাহান বেগম ও সাগরের বোন খালেদা আকতার ডলি।
মামলার বাদী আসমা অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে সাগরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সাগর বিয়ে গোপন করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী চালক পদে চাকরি নেয়।
সাগরের চাকরীতে পদোন্নতির জন্য তার কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। ইতিমধ্যে বাদীর বাবা নুরুল ইসলাম তার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে তালতলী শহরে একটি বাড়ি তৈরী করে দেয়। আসামী সাগর ছুটিতে বাড়ী এসে রবিবার বিকালে আবারও তার স্ত্রীর নিকট ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। আসমা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে তাকে লাথি, কিল, ঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম করে। আসমা ডাকচিৎকার দিলে একটি ওড়না দিয়ে তার হাত পাঁ বেধে সকলে নির্যাতন করে। আসমার বাবা সংবাদ পেয়ে আসামীদের হাত থেকে আসমাকে রক্ষা করে তালতলী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
আসমা বলেন, চিকিৎসা শেষে তালতলী থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পূলক চন্দ্র বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেই মামলা করতে আসেনি।