রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কৃষি কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক রোকনুজ্জামান এই রায় প্রদান করেন। দীর্ঘ ১৩ বছর ৯ মাসের বেশি সময় ধরে এ মামলায় আদালত আসামি ও বাদী পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামি জাকিরুল ইসলাম মিলন রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামের আনছার আলীর ছেলে। তিনি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকরি করছেন।
এদিকে মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৪ জুলাই আসামি মিলন জ্বরে আক্রান্ত তার অসুস্থ মায়ের মাথায় পানি দেয়ার জন্য প্রতিবেশী আব্দুল মালেকের স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হাত-বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
ঘটনার নয় দিন পর মিলনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি ও বাদীপক্ষের ১৫ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি জাকিরুল ইসলাম মিলনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। একই সাথে আসামির কাছ থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে নির্যাতিতা ওই ছাত্রীকে প্রদানের নির্দেশ দেন বিচারক।
রায় ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, ‘ঘটনার সময় আসামি মিলন কৃষি ডিপ্লোমা নিয়ে পড়াশুনা করতেন। পরবর্তীতে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। এই রায়ে বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছেন। এতে করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠত হয়েছে। ‘
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন রশীদ চৌধুরী ও এমদাদুল হক। রায়ে তারা কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি।