বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা একই সূত্রে গাঁথা। একাত্তরে যখন পাকিস্তানি হানাদাররা হাজার হাজাার বাড়িঘর জ্বালিয়ে সারাদেশে বিভিষিকাময় পরিস্থিতি করেছিল, বাঙালি জাতীকে হত্যাসহ মা বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করছিল তখন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আতিথেয়তা গ্রহণ করছিলেন। সে সময় পাকিস্তানি সেনাদের দেখলে এদেশের সাধারণ মানুষ আঁত্কে উঠতেন পক্ষান্তরে তারেক জিয়া তখন পাক হানাদারদের কোলে পিঠে চড়ে চকলেট খাচ্ছিলেন। জিয়াউর রহমান সেখান থেকে চিরকুট পাঠিয়ে তার স্ত্রীকে ফিরে আসতে বললে তিনি ফিরে আসতে অস্বীকৃতি জানান এবং পাক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরাপদ আছেন বলে জিয়াকে জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মেজর জিয়া যখন স্ত্রীকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান তখন বঙ্গবন্ধু তাকে ডেকে নিয়ে বাধ্য করে খালেদাকে তার হাতে তুলে দেন এবং পুরস্কার স্বরূপ সেনাবাহিনীর উপপ্রধানের পদ সৃষ্টি করে জিয়াউর রহমানকে প্রতিষ্ঠিত করেন। সেই জিয়া ও খালেদার পুত্র তারেক এখন ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করছেন। সত্যকে কখনো ধামাচাপা দেয়া যায়না। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা কখনো ভাবেনি তাদের বিচারের মুখোমূখি হতে হবে। তারা বিদেশে দম্ভ করে বলেছিল শেখ মুজিবকে হত্যা করেছি। সাকা চৌধুরীরা দম্ভ করে বলতো আমি রাজাকার। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও রাজাকারদের বিচার হয়েছে ফাঁসি ও কার্যকর করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি আজ শনিবার রাতে রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়েজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। সাহাব্দীনগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ইফতেখার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতকানিয়া আসনের সাংসদ আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভি বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহ উপজেলা আ. লীগের সভাপতি মেয়র খলিলুর রহমান চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার কেন্দ্রিয় যুবলীগ নেতা শেখ ফরিদ চৌধুরী।