ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনায় আরো দু’জনকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
রিমান্ডে নেওয়া দু’জন হলেন, নুসরাতের সহপাঠী ও অভিযুক্ত অধ্যক্ষের ভাগনী উম্মে সুলতানা পপি এবং এজহারভুক্ত আসামি মাদ্রাসা ছাত্র জোবায়ের আহমেদ।
এর আগে বুধবার পপি ও জোবায়ের আহমেদকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত পরদিন (বৃহস্পতিবার) শুনানির দিন ধার্যকরে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহম্মেদ এর আদালত পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে ৭ দিনের ও ওই মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নুর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন ও শাহিদুল ইসলাম প্রত্যেককে ৫দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
উলেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।
ছাত্রীর পরিবারের ভাষ্যে, ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তারই জেরে মামলা করায় নুসরাতকে আগুনে পোড়ানো হয়। ওই মামলার পর সিরাজউদ্দৌলাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।