সাভারে আবারও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রথমে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিমানে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী। বুধবার বিকেলে সাভার পৌর এলাকার ইমান্দিপুর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এবং পরে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।
ধর্ষিতা ও তার পরিবার অভিযোগ করে বলেন, স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রতিবেশী আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে সজিব হোসেনের (২১) সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
টানা দুই বছর তাদের মধ্যে এ সম্পর্ক চলার এক পর্যায়ে গত জানুয়ারি মাসে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে সজিব। এ ঘটনার পর বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও সজিব বিভিন্ন সময়ে ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে একটি সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিয়ের দিনও ধার্য করা হয়। কিন্তু তারিখ দিয়েও বিয়ে না করে ছেলেকে অন্যত্র সরিয়ে দিয়ে ঘটনার জন্য মেয়েকে অভিযুক্ত করে উল্টো থানায় অভিযোগ দায়ের করে ছেলেপক্ষ।
এ ঘটনায় ধর্ষণের বিষয় উল্লেখ করে মঙ্গলবার রাতে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে ভুক্তভোগী ওই তরুণী। কিন্তু অভিযোগ দায়েরের পরও তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল হোসেন একাধিকবার সময় দিয়েও ঘটনার তদন্ত করতে যায়নি বলে অভিযোগ উঠে। পরে এ ঘটনায় রাগে ও অপমানে ভুক্তভোগী ওই তরুণী বুধবার বিকেলে নিজ কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীরা ঘরের দরজা ভেঙে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে।
এদিকে, পরে খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত সজিব হোসেনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে গত রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে অনান্য কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করতে বিলম্ব হয়। এছাড়াও এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে রাতে অভিযুক্ত সজিব হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের শিকার নারী পোশাক শ্রমিককে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।