নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের জাতীয় পার্টির সাংসদ সেলিম ওসমান জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘নির্বাচনের সময় তাঁকে জরুরিভাবে নারায়ণগঞ্জে আনা হয়েছিল। উনি না থাকলে নির্বাচনে কোনো হট্টগোল হয়ে যেতে পারত।’
সাংসদ সেলিম বলেন, ‘এমনও হতে পারে নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে, আরেক জায়গায় ওনার মতো স্ট্রং (শক্তিশালী) একজনের প্রয়োজন আছে। সুতরাং ওনার বদলি হতেই পারে। আমরাও তখন তাঁকে সংবর্ধনা দেব। এটা স্বাভাবিক। ঝগড়াও হতে পারে, আবার বিদায় সংবর্ধনাও দিতে পারি।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমার সাথে কোনো এমপির দ্বিমত নেই। আমাদের কাজ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। আমরা সেটাই করছি। আমরা যেভাবে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করছি, আগামী দিনগুলোতেও সেভাবে করব। এখনো অনেক মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যু আছে, যাদের কাছে অনেক সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে আছে। আমরা শুধু সেগুলোকে ধরতে চাই। আমরা চাই, নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠু একটি পরিবেশের মধ্যে এখানকার মানুষ স্বস্তিতে থাকবে। পুলিশকে কোনো দিকে হেলানোর চেষ্টা করা যাবে না। আমরা আমাদের পথে সঠিকভাবে কাজ করতে চাই। আমাদের ভুল হতে পারে। যদি ভুল হয়, ভুলটা ধরিয়ে দেবেন। আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, নুরে আলম, সুবাস চন্দ্র সাহা, মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম, ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন, বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মীর শাহীন শাহ্ পারভেজ, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সরোজ কুমার সাহা, মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার, যুগ্ম সম্পাদক উত্তম সাহা প্রমুখ।