প্রাণকৃষ্ণ বিশ্বাস প্রান্তঃ পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের লড়া গ্রামে রাস্তার মাঝের বিদ্যুৎ খুঁটি না সরিয়ে চলছে রাস্তার উন্নয়ন কাজ। কাঁচা মাটির রাস্তাটিতে ইট বিছানো হচ্ছে বিদ্যুৎ খুঁটি না সরিয়েই।
খুঁটি সরিয়ে না নেয়ায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এই রাস্তাটিই বৈঠাকাঠা, গাওখালী ও অত্র গ্রাম থেকে টুঙ্গিপাড়া ও গোপালগঞ্জে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম। এ রাস্তাটি আগে কাচা ছিল এখন ইটের সোলিং হচ্ছে। রাস্তা দিয়ে চলাচলের যানবাহন ব্যাটারি চালিত ভ্যান ও মোটরসাইকেল।এলাকার কর্মপরায়ন লোকজন সহ স্কুল-কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা বাই সাইকেল যোগে চলাচল করে। পিলারটি তাদের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে একটু অসতর্ক হলেই। অনেকেই রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুতের পিলারটি যানবাহন চলাচল ছাড়াও রাতে আলো বিহীন পথচারীদের চলাচলের জন্য বড়ই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন।
মালিখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য উত্তম বিশ্বাস রাস্তাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে গ্রাম বাংলা নিউজের বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধিকে বিষয়টি অবহিত করেন।
বিষয়টি সাচিয়াবাজারস্থ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চাকুরীরত মো. জুলফিকর আলীর সাথে আলোচনা করা হলে তিনি বলেন পিলারটি নিয়ে এখনো কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ দেয়নি। আর অভিযোগ আমাদের কাছে দিলে আমাদের কিছু করারও থাকবেনা।কারন আমাদের কোন এখতিয়ার নেই এই বিদ্যুৎ পিলার সরানোর বিষয়ে। তিনি বলেন যাঁরা রাস্তা তৈরি করছেন অর্থাৎ এলজিআরডি কর্তৃপক্ষ তাঁরা পিরোজপুর জেলা বিদ্যুৎ অফিসে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আবেদনের মাধ্যমে অবগত করালে বিদ্যুৎ খুঁটিটি তারা স্থানান্তর করার অনুমতি দিলে আমরা কাজটি করতে পারবো।
স্থানীয় সাচিয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পবিত্র বসুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দকে অবগত করা দরকার যাতে তারা বিদ্যুৎ পিলার স্থানান্তরের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।
রাস্তা তৈরির কন্ট্রাক্টার এর সাথে যোগাযোগ করতে স্থানীয় এক শিক্ষকের ( নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ করে বলেন এ কাজটি এলজিআরডি কর্তৃপক্ষকে রাস্তা তৈরির কনট্রাক্টর জানাবেন না। কারন রাস্তায় তারা যে ইট ব্যবহার করছে তা আসলেই মান সম্পন্ন নয়। তারা যেভাবে হোক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাস্তার ইট বিছানো কাজটি সমাপ্ত করতে পারলেই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে।