মাদারীপুরের পদ্মায় উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় সনাক্ত

Slider গ্রাম বাংলা

মাদারীপুরের পদ্মায় শিবচর থানা পুলিশের উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত নামা মরদেহের নাম পরিচয় সনাক্ত করেছেন তার স্বজনরা। সেই মরদেহের নাম ইকবাল মাহমুদ। সে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং গ্রামের মৃত শাহ মোহাম্মদ এমরানের একমাত্র ছেলে।

সে ওই গ্রামের সম্ভ্রান্ত ও ধনাঢ়্য পরিবারের সন্তান।

নিহত ইকবাল মাহমুদ চার বোনের মধ্যে একমাত্র ভাই। আমার বাবা গত এক মাস আগে মারা যান। ভাইয়ের মৃত্যুর কোন কারণ বলতে পারছেন না তার পরিবারেরর স্বজনরা।

গত ২ এপ্রিল ভোররাতে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিবচর থানা পুলিশ ও তেজগাও থানা জিডির সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের পদ্মা নদী থেকে গত ২ এপ্রিল ভোর রাতে পুলিশ অনুমান ২৮ বছরের এক যুবকের ভাসমান ও গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। তাৎক্ষনিক ওই মৃতদেহে কোন নাম পরিচয় জানা যায় নাই। তাই অজ্ঞাত নামা পরিচয়ে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়। পরে আঞ্জুমানে মফিদুলের মাধ্যমে লাশ সেখানে দাফন করা হয় হয়।

ইকবাল মাহমুদ চ্যার্টার একাউন্টিং (সিএ) পড়ার কারণে ঢাকার পান্থপথ এলাকার ইউটিসি বিল্ডিং এ ইন্টার্নি করতেন। গত ৩১ মার্চ সেখান থেকে আর বাড়ি ফিরেননি। ৩/৪ দিন খোঁজাখুজির পর কোথাও তাকে না পেয়ে তেজগাও থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নং ২১৪ তারিখ ০৪-০৪-১৯)। মোবাইল তথ্য প্রযুক্তিরতে নিহত ইকবাল মাহমুদের সর্বশেষ অবস্থান দেখায় শিবচরে। তাই পরিবারের স্বজনরা ওই তার সন্ধানে শনিবার সকালে শিবচর থানায় আসেন।

শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন মোল্লা জানান, ওই মরদেহটি ইকবাল মাহমুদ নামের এক ব্যক্তির। নিহত ইকবাল মাহমুদ কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার হারবাং গ্রামের মৃত শাহ মোহাম্মদ এমরানের একমাত্র ছেলে। নিহতের পড়নের জুতা কাপড় চোপড় দেখে তার বোন সাদিয়া ইসরাত ও তার স্বামী সালাউদ্দিন শনাক্ত করেন। যেহেতু মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে তাই ইকবাল মাহমুদের লাশ উত্তোলন করে তার স্বজনরা নিয়ে যেতে ইচ্ছে পোষন করেন। সে কারনে মাদারীপুর জেলা ম্যাজিষ্টেট্রের কাছে লাশ ফেরত নেওয়ার আবেদন করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *