কম্পিউাটার ট্রেনিং সেন্টার। পাশে ফটোস্ট্যাট। কাগজ কলমও বিক্রি হয়। এই দোকানেই আবার কবুতর পালন করা হচ্ছে।
এমন দৃশ্য দেখে প্রথমে যে কেউ বিস্মিত হবে। দৃশ্যটি কুমিল্লা নগরীর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের নিকট কুচাইতলী এলাকার একটি দোকানের।
দোকানের নাম পলাশ কম্পিউটার সেন্টার।
মালিক মো. আবদুস সাত্তার। বয়স ৫৭ বছর। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার নুনিয়া গ্রামে। এখন তার বাসা সদর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায়। তিনি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট। তরুণ বয়স থেকেই তিনি কবুতর পালন করেন। বিদেশে মিশনে গিয়েও কবুতর পালন ছাড়েননি। কুয়েতে থাকাকালীন সময়ে সেনা ক্যাম্পের খালি বক্সে ১৮ জোড়া কবুতর পালন করেছিলেন।
দোকানে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কম্পিউটারে কাজ করছে। তিনি তাদের কাজ দেখানোর ফাঁকে কবুতরের দেখাশোনা করেন। এখানে দোকানোর কোনে কয়েকটি বক্সে ১০ জোড়া কবুতর রয়েছে। আবদুস সাত্তার কবুতরকে খাবার খাওয়ান, বক্স পরিস্কার করেন। তিনি শখের বশে এখানে এগুলো পালন করছেন।
আবদুস সাত্তার বলেন, দুই ছেলে। তারা বড় হয়ে গেছে। কেউ চাকুরি, কেউ পড়া নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছে। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর দোকানটি খুলি। সেনাবাহিনীতে থাকতে কম্পিউটার শিখি। অবসর সময় কাটাতে এখানে ট্রেনিং সেন্টার খুলেছি। প্রশিক্ষণার্থীদের থেকে নাম মাত্র ফি রাখি। আর সাথে শখের কবুতর পালন করি। এগুলো পালন করে সন্তানের অভাব দূর করি। এখানে ময়ুর পঙ্খী, সিরাজ, হিলমেট, কার্জি, গিরিবাজ ও পেশোয়ারি জাতের কবুতর রয়েছে।
এই ট্রেনিং সেন্টারের ছাত্র আবু সুফিয়ান রাসেল বলেন, এই সেন্টারের ট্রেনিংয়ে নামমাত্র ফি রাখা হয়। এছাড়া ফটোকপি থেকে শুরু করে অন্যান্য পণ্যও সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়।