পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা নিয়ে অন্য দেশগুলির গবেষণার মধ্যেই বিশ্বে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ‘ফাইভ-জি’ ইন্টারনেট উদ্বোধন করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।
ফাইজ-জি চালু হলে তা বর্তমান সচল ফোর-জি থেকে ২০ গুণ বেশি গতিতে কাজ করবে। একটি পূর্ণাঙ্গ সিনেমা মাত্র ১ সেকেন্ডে ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়া লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিংও আগের চেয়ে অনেকগুন দ্রুত হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বুধবার জানায়, ফাইভ-জি নেটওয়ার্কে কার্যকর স্যামসাং গ্যালাক্সি এস১০ স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই নেটওয়ার্ক সেবা চালু করা হবে।
সবচেয়ে বেশি মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে এমন দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ কোরিয়া। পুরো দেশজুড়ে ফাইভ-জি চালু করতে দেশটি পাল্লা দিচ্ছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে। বর্তমানে কোথাও পুরো দেশজুড়ে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নেই।
দক্ষিণ কোরিয়া আশা করছে নতুন এই প্রযুক্তি স্মার্ট সিটি ও স্বয়ংচালিত গাড়ির মতো বিভিন্ন খাত বাস্তাবায়ন ত্বরান্বিত করবে। এর ফলে দেশটির অর্থনীতিও চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম ছিল ২০১৮ সালে।
‘দক্ষিণ কোরিয়ার টেলিকম কোম্পানিগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে উচ্চ গতি ও ছবির মানসম্পন্ন সেবা ও নেটওয়ার্ক প্রদান করছে,’ বলেন রিউ ইয়ং, দেশটির অন্যতম মোবাইল কোম্পানি এসকে টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তা।
রিউ বলেন, ফাইভ-জি চালু হলে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির চেহারা বদলে যাবে। ন্যুনতম বিলম্বে স্মার্টফোনে গেম স্ট্রিমিং করতে গেমাররা।
নতুন ফাইভ-জি প্রযুক্তিতে ফোর-জি নেটওয়ার্কের চেয়ে ২০ গুন দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং পরাবাস্তব প্রযুক্তিও এই নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা সহজ হবে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এটি প্রচলিত নেটওয়ার্কের চেয়ে ১০০ গুন বেশি দ্রুত কাজ করতে পারে, জানায় রয়টার্স।
বিশ্বজুড়ে ২০০১ সালে থ্রি-জি এবং ২০০৬ সালে ফোরজি চালু হয়। বাংলাদেশে এ দুটি সেবা যথাক্রমে ২০১২ ও ২০১৮ সালে চালু করা হয়। এদিকে বাংলাদেশে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ফাইভ-জি চালু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।