লোডভিক ডি ক্রুইফ। বাংলাদেশ ফুটবল দলের ১৬তম বিদেশি কোচ। গেল ১৮ অক্টোবর তার সঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সকল সম্পর্কের অবসান হয়েছিল। তার পরিবর্তে বর্তমানে বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন সাইফুল বারী টিটু। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর বুধবার জাপান অনূর্ধ্ব-২১ দলের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। এরপরই শোনা যাচ্ছে নতুন গুঞ্জন।
শুক্রবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের আগে ফিরিয়ে আনা হতে পারে নেদারল্যান্ডসের কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফকে।
এ বিষয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আগামী মাসে শুরু হবে। হাতে বেশি সময় নেই। ক্রুইফ দেড় বছর আমাদের দল নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি আমাদের দলকে বোঝেনও। তাছাড়া তিনিও আসতে চাইছেন। যদিও তার কিছু শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা আছে। এ ব্যাপারে তাবিথ আউয়াল তার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের জন্য ক্রুইফকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে।’
তবে আসল ঘটনা অন্য জায়গায়। বাংলাদেশের কোচের দায়িত্বে থাকাকালিন ক্রুইফকে ঠিকমতো বেতন দিতে পারেনি ফেডারেশন। আর সে কারণে ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেননি তিনি। বেশির ভাগ সময়ই ছুটি কাটিয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে কোচের উপর ক্ষুব্ধ হয়েই বিদায় করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল ঠিক সময়ে তার সব দেনা-পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু সেটা এখনো পরিশোধ করতে পারেনি ফেডারেশন। এ অবস্থায় নতুন কোচ নিয়োগ দিতে গেলে মামলা করার সুযোগ থাকবে ক্রুইফের। আর সে কারণেই হয়তো চাপে পরে সমঝোতার মাধ্যমে ডাচ কোচকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন বাফুফে সভাপতি।
অবশ্য ক্রুইফ ফিরে আসলে তার নেওয়া বেশ কিছু প্রোগ্রাম নতুন করে গতি পাবে। তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক দল গঠন ও পাইপলাইনে খেলোয়াড় সংকট কাটানো। আর সে লক্ষ্যে বয়স ভিত্তিক দলগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে তাকে।