সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের আলোচিত সেই শিশু নাঈম। বৃহস্পতিবার ঢাকার বনানীতে বহুতল ভবন এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারের সময়ে পানির পাইপের ছিদ্র পলিথিন পেঁচিয়ে ধরে ছিল শিশু নাঈম।
দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ফেসবুকের নিউজফিডে ঘুরেফিরে দেখা যায় এই ছবি।
পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া নাঈমের এই কাজের জন্য দেশ-বিদেশে এখন কেবল তারই প্রশংসা চলছে। আর এবার নাঈমের এই মানবিক কাজের জন্য খুশি হয়ে তাকে উপহার স্বরূপ পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন এক প্রবাসী যুবক।
প্রবাসী এই যুবক হচ্ছেন সিলেটের গোলাপগঞ্জের ওমর ফারুক সামি।
পাশাপাশি নাঈমের পড়া-লেখার দায়িত্ব নেয়ার কথাও জানান তিনি। ওমর ফারুক সামি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।
প্রবাসী ওমর ফারুক সামি জানান, আমি নাঈমের কাজে খুবই খুশি হয়েছি। নাঈম খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করছে। সে বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হতে চায় বলে আমাকে জানিয়েছে। তার ইচ্ছেপূরণ করতে আজ থেকে তার পড়ালেখার দায়িত্ব নিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে তার উপহারের পাঁচ হাজার মার্কিন ডলারও প্রদান করব। এই বিষয়ে নাঈমের পরিবারের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলাপ হয়েছে বলেও জানান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ওমর ফারুক সামি।
উল্লেখ্য, আলোচিত শিশু নাঈম ইসলাম রাজধানী ঢাকার কড়াইল বস্তি এলাকার বৌ বাজারের রুহুল আমীনের ছেলে। সে আনন্দ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া এফ আর টাওয়ার ঘিরে ও ছিল উৎসুক মানুষের ভিড়। সেই ভিড়ে ছোট্ট শিশু নাঈমুল ইসলামকেও (১১) দেখা যায়। তবে সে ছিল অনেকটাই আদরে। ভিড় সামলাতে ব্যস্ততার মাঝেও পুলিশ আদর করছিল ছোট্ট নাঈম।
বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের পাইপ ফেটে গেলে সেখান থেকে পানি বের হওয়া ঠেকাতে পাইপের লিকেজে পলিথিন পেঁচিয়ে ধরে বসে ছিল শিশু নাঈম। সেই ঘটনার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এরপর থেকেই ছবির সেই ছোট্ট ছেলেটির প্রশংসা করছেন সবাই।
বৃহস্পতিবার সারাদিন বনানীর আগুন লাগা ভবনটির সামনে ছিল শিশু নাঈম। শুক্রবারও নিজেকে আটকে রাখতে পারেনি সে, সকালেই বাসা থেকে চলে এসেছে এফ আর টাওয়ারের সামনে।