ঢাকা: বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় প্রাণ গেছে ২৫ জনের। আহত হয়েছেন ৭৩ জন। এরই মাঝে সম্পন্ন হয়েছে উদ্ধার অভিযান। ভবনের সপ্তম, অষ্টম ও নবম তলা একেবারে পুড়ে গেছে সব। ওপরের দিকে বেশকিছু ফ্লোরের আসবাব ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঐ এলাকার বাতাসে এখন কেবলই পোড়া গন্ধ।
ধারণা করা হয় আগুনের সূত্রপাত হয় সপ্তম তলায়। প্রথম তলা থেকে ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত তেমন ক্ষতি হয়নি। ক্ষতি হয়নি সেখানে থাকা লোকদেরও।
আট তলার নিচের ফ্লোরগুলোর মধ্যে এই দুটি ফ্লোরে আগুনের কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়। সিঁড়ি রুম থেকে ধোঁয়া নিচের ফ্লোরের মধ্যেও ঢুকে পড়ে। তবে আট তলার নিচের ফ্লোরের কর্মীরা নাকে কাপড় চেপে ধরে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। মূলত সপ্তম, অষ্টম ও নবম তলা, এই তিনটি ফ্লোর আগুনে পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের বৈদ্যুতিক তারগুলোর কারণেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এখন পর্যন্ত আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তারা মনে করছেন শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তবে এটা তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
অষ্টম তলায় ছিল রেস্টুরেন্ট। তবে এখন সেখানে নেই কোন রেস্টুরেন্টের চিহ্নও। প্রতিটি ফ্লোরে থাকা প্রচুর সংখ্যক কম্পিউটার ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সব এখন শুধুই ছাই। ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ফ্লোরেও ছিল আগুনের আচ। অক্সিজেন পাবার জন্য ভেঙে ফেলা হয়েছে গ্লাস।