ঢাকা: দুর্ঘটনা রোধে বিল্ডিং তৈরীতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করা উচিৎ বলে মনে করেন গণফোরাম সভাপতি বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, এই কমিশন দেখবে বিল্ডিং তৈরী করতে কি কি লাগবে, দুর্ঘটনা ঘটলে কি উপায়ে দ্রুত বের হওয়া যাবে। এছাড়া বর্তমান যে আইন আছে সেটি যথেষ্ট কিনা বা এই আইনে কি কি ত্রুটি আছে তা বের করা। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর আজ সকালে বনানীর এফ আর টাওয়ার পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এছাড়া এফ আর টাওয়ার নির্মাণে কোন ত্রুটি আছে কিনা, থাকলে এর সঙ্গে কারা জড়িত সেটিও তদন্ত করে দেখার কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ সবাইকে আইনী সহযোগিতা দেয়া হবে। এ ব্যাপারে কোন ঘাটতি হবে না বলেও জানান তিনি।
কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা তো কিছু তথ্য পেয়েছেন।
এখন পর্যন্ত বলা হচ্ছে, ২৫ জন মারা গেছে। আর তো কোন তথ্য পাচ্ছি না। কিভাবে আগুন লাগলো, কোন তলা থেকে লাগলো, এতদ্রুত কিভাবে ছড়ালো? আমি বিশ^াস করি, এসব নিয়ে সরকার একটি জাতীয় তদন্ত কমিটি গঠন করবে। কিন্তু যেনতেনভাবে তদন্ত করলে চলবে না।
তিনি বলেন, কতগুলো বিল্ডিং এখানে আছে। এখানে যে ত্রুটির জন্য আগুন লাগলো, এতদ্রুত ছড়িয়ে গেলো এবং মানুষের বাঁচার কোন পথ ছিলো না। বিভিন্ন দেশের আইন দেখতে হবে, যেনো আগুন লাগলে মানুষ জান বাঁচানোর জন্য বের হতে পারে।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আপনারা অবাক হবেন, আমিও হচ্ছি, যে ঘটনা ঘটে গেলো এটা কোনভাবেই ঘটার কথা না, যদি বেরোনোর একটা পথ থাকে। জানালা থেকে ঝাপ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা, এটা কোন কথা না? ১০-১২ তলা থেকে ঝাপ দিয়ে মানুষ কিভাবে বাঁচবে?
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে গণফোরাম সভাপতি আরও বলেন, আপনারাও কথাগুলো বলবেন। আমি মনে করি, সরকারও যে ধরনের কমিটি করবে, সেখানে বড় রকমের আর্কিটেক্ট থাকবেন। বিল্ডিং আইনে কি আছে, সেগুলো মেনে করা হচ্ছে কি হচ্ছে না সেগুলো দেখবেন। আর এখন যে বিল্ডিংগুলো আছে, সেগুলোরও একটা মূল্যায়ন করে বুঝতে হবে যেনো এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।
ইতিমধ্যে এ নিয়ে কাজ শুরু করেছেন জানিয়ে তারা কাজ শুরু করেছেন জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, এ জন্য আমরা ঘটনাস্থল দেখতে এসেছি। বিল্ডিং নির্মাণে বিল্ডিং কোড, বিল্ডিং প্লান, যারা অনুমোদন করেছিলো, অনুমোদন করার সময় কিছু শর্ত দিয়েছিলো কি না, যদি না দিয়ে থাকে সেটাও তারা বিবেচনায় নিয়ে কাজ করবেন।