ঢাকা: আন্তর্জাতিক তীব্র চাপের মুখে অবশেষে নারী অধিকার কর্মীদের মুক্তি দিল সৌদি আরব। নারী অধিকার নিশ্চিত ও পুরুষ অভিবাবকত্বের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকার দায়ে তাদেরকে প্রায় ১ বছর আটকে রাখা হয়েছিল। বৃহ¯পতিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এ খবর নিশ্চিত করেছে। আল-জাজিরা জানিয়েছে, কারাগারে আটক নারী অধিকারকর্মীদের ওপর অমানবিক অত্যাচার, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সৌদি সরকার সম্প্রতি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাসহ কানাডা ও বৃটেনের মত রাষ্ট্রগুলো এ নিয়ে সৌদি আরবকে চাপ দিতে থাকে। অবশেষে দেশটির আদালত বন্দি অধিকারকর্মীদের মুক্তি দিয়েছে।
গণমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখা দেশটি কোন কোন অধিকারকর্মীকে মুক্তি দিয়েছে তা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে বেশ কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী মুক্তি পাওয়া বন্দীদের মধ্যে রয়েছেন ব্লগার ইমান আল-নাফজান, কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আজিজা আল-ইউসেফ ও আরেক শিক্ষিকা রোকায়া আল-মোহারেব।
বুধবার আদালত তাদেরকে মুক্তি দেয়। সেখানে বিদেশী সাংবাদিক ও ক’টনীতিকদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তবে আদালত জানিয়েছে, মুক্তি দেয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের প্রতি নজর রাখা হবে। একইসঙ্গে তাদেরকে বেশ কিছু শর্তও দিয়ে দেয়া হয়েছে। পুরোপুরি মুক্তির আগে তাদেরকে প্রয়োজনে আদালতে হাজিরা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপিকে এক আÍীয় জানিয়েছেন যে, ওই নারী অধিকারকর্মীদেরকে আগামি ৩ এপ্রিল পর্যন্ত আদালতে হাজিরা দিতে হবে। তবে তার নাম প্রকাশ করেনি সংস্থাটি।
গত বছরের মে মাসে ১১ নারী অধিকারকর্মীকে আটক করে তীব্র রক্ষণশীল দেশটি। বুধবার আদালতে তাদের ওপর চলা অত্যাচার ও যৌন নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন তারা। কারাগারে তাদেরকে ইলেক্ট্রিক শক দেয়ার ঘটনাও ঘটে। অত্যাচার সইতে না পেরে আÍহত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বুধবার আদালতে হাজির করার আগে তাদেরকে মাত্র ২ ঘন্টা সময় দেয়া হয়েছিল আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার জন্য। তবে বরাবরের মত এ ধরণের নির্যাতনের সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে সৌদি আরব।