বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ দলের একাংশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে ২ কোটি টাকার দাবি ও অপপ্রচারের অভিযোগ করেছেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জি.এম দেলোয়ার হোসেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বুধবার বরগুনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জি.এম দেলোয়ার হোসেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিও।
সংবাদ সম্মেলনে অশ্রসজল ও দুঃখ ভারাক্রান্ত কণ্ঠে জি.এম দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আমতলীর পৌরমেয়র মতিয়ার রহমান, সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান এবং ইউপি সদস্য নুরুল হকসহ দলের কতিপয় নেতাকর্মীরা তার সাথে নির্বাচনী প্রচারে নেমে ২ কোটি টাকা দাবি করেন। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সামসুদ্দিনের ঘোড়া প্রতীকের প্রচারণায় নেমে তার এবং দলের সভানেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. এম.এ কাদের, প্রফেসর জালাল উদ্দিন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগী মোক্তার, বশির তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার ফকির, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জি.এম হাসান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি.এম মুছাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, দেলোয়ার হোসেনের সংবাদ সম্মেলনে করা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, সংগঠনের প্রতি দলের সভাপতির কোনো আস্থা নেই। আনারস প্রতীকের প্রার্থীর মঞ্চে উঠে নৌকার পরিবর্তে আনারস প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন বলে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মতিয়ার রহমান বলেন, দল কারো কাছে বিক্রি হবে না। আমি নৌকার পক্ষে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।