দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে চবি প্রশাসন। এ লক্ষে পাঁচ সদস্যের নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটিও গঠন করেছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উদ্দীপনা। হল কিংবা চায়ের দোকানে জমে উঠেছে চাকসুর আড্ডা।
ক্যাম্পাস জুড়ে লেগেছে চাকসুর নির্বাচনের হওয়া।
চাকসু নির্বাচন সফল করার লক্ষে নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটির সদস্যরা হলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শফিউল আলম, আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ বি এম আবু নোমান, লোক প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আমীর মোহাম্মাদ নসরুল্লাহ, সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র ও সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন, নির্বাচন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফেতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বুধবার আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি চাকসু নির্বাচন দিব।
চাকসুর যে নীতিমালা রয়েছে সেটিকে সংশোধন ও যুগোপযোগী করবো এবং ডাকসুর নীতিমালা সংগ্রহ করব। চাকসুর যে নীতিমালা রয়েছে সেটি সংশোধন করে নতুন নীতিমালা গঠন করার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি রিভিউ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ‘১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন তৎকালীন ছাত্রদল নেতা নাজিম উদ্দিন, জিএস নির্বাচিত হন আজিম উদ্দিন ও এজিএস নির্বাচিত হন মাহবুবুর রহমান শামিম। ওই কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ২৭ জনের। একই বছর ডিসেম্বরে নির্বাচনে হেরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্র ঐক্যের নেতা ফারুকুজ্জামান খুন হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাকসুর সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় তৎকালীন প্রশাসন। বন্ধ হয়ে যায় চাকসুর হল সংসদের কার্যক্রমও।