ঢাকার দোহারে হত্যা মামলায় ১৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড

Slider গ্রাম বাংলা

ঢাকার দোহারে কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যার দায়ে ১৫ আসামিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। আজ ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে মামলার অপর দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারাদন্ডের পাশাপাশি আসামিদের ২০ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ১৫ আসামির মধ্যে সিরাজ ওরফে সেরু কারিগর, মিনহাজ ওরফে মিনু, খলিল কারিগর, শাহজাহান কারিগর, কালু ওরফে কুটি কারিগর, আজহার কারিগর, নিয়াজ উদ্দিন, মোজাম্মেল ওরফে সুজা, আ. লতিফ, জালাল ও বিল্লল রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দিদার, এরশাদ, জলিল কারিগর ও ইব্রাহিম পলাতক ছিলেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুজন হলেন- মজিদল ওরফে মাজেদা ও চায়না বেগম।

তারা দুজনই পলাতক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল বুড়িগঙ্গা ব্রিজের পাশে নারিশা পশ্চিম চর এলাকায় কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। এরআগে নজরুলের সঙ্গে আসামিদের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ বিষয়ে একাধিক মামলাও চলছিল আদালতে। এর জের ধরে আসামিরা তাকে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। নজরুলকে বাঁচাতে তার স্ত্রী সূর্যভান এগিয়ে গেলে তাকেও আঘাত করে আসামিরা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক নজরুলকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নজরুলের মামা নাজিমুদ্দিন আহমেদ ওই দিনই দোহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ২০০৮ সালের ২৬ জুলাই ১৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৯ সালের ২৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচার শুরু করে আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *