রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্দ্যোগে উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের খোঁজেখানি গ্রামে ৯ শতক জমি বন্দোস্ত পেয়েছেন বানু আক্তার।
(১৮ মার্চ সোমবার) দুপুরে শ্রীপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে ডেকে এনে বিষয় নিশ্চিত করে ইউএনও রেহেনা আকতার নিজেই। এর সাথে একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়া আশ্বাস প্রদান করেন।
বানু আক্তার নীলফামারি জেলার সদরের ডোমার ডিমলা গ্রামের দিন মুজুর আবদুস সাত্তারের মেয়ে। প্রায় দশ বছর পূর্বে গাজীপুরের নীলের পাড়া গ্রামের দেওয়ালীয়া বাড়ি এলাকায় চলে আসেন। এখানে একটি ক্লাব ঘরে শুরু করেন বসবাস ।
এসময় কথা হয় বানু আক্তারের সাথে। তিনি জানান, দু’হাত না থাকলেও দু’পায়ের সাহায্যে খাতা কলমে নিজের নাম লেখা শুরু করে, পরে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া করেন। পরে সংসারের স্বপ্ন দেখে এক বন্ধুর প্ররোচণায় বিশ্বাস করে বিয়ে করে তার সাথে ঢাকা চলে আসেন। কয়েক মাস সংসার করার পর তাঁর স্বামী তাকে রেখে চলে যায়। পরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সারাদিন ঘুরতে ঘুরতে জেলা শহরের নীলের পাড়া এলাকায় এসে উঠে। পরে এলাকার লোকজন তাকে ক্লাব ঘরের এক কোণে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা করে দেয়। এরপর শুরু তার সংগ্রামী জীবন। একটা সময় শুধু মাত্র বেঁচে থাকার তাগিদে বাধ্য হয়ে ভিক্ষায় নামতে হয়েছিল, কিন্তু অসম্মানের সেই পেশায় তাকে বিবেকের দংশনে ভোগতে হয়েছে। গাজীপুরের ঘুরে কোথাও চাকুরীর সন্ধান না পেয়ে বানু আক্তার শুরু করেন কুটির শি। তাঁর সংগ্রামী জীবনের চিত্র নজরে আসে গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড.দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবিরের। তাঁর নির্দেশে শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার রেহেনা আকাতর নয় শতক জমির বন্দোবস্ত বানু আক্তারকে দখল বুঝিয়ে দেন।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনা আকতার বলেন, বানুর সংগ্রামী জীবন দেখে জেলা প্রশাসক তাকে একটি কুটির শিল্প বিক্রির শো-রুম ও নগদ এক লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাকে আমরা শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ থেকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে প্রশিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। এখান থেকে বানুর প্রতি মাসে বেতন পাবেন