বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে সামনে এল নতুন তথ্য। হামলার পর নিহত জঙ্গিদের দেহ বালাকোট থেকে সরিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তানি সেনারা। খাইবার-পাখতুনওয়া এবং পাকিস্তানের কিছু আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় দেহগুলি সরিয়ে ফেলা হয়।
এই দাবি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গিলগিটের এক মানবাধিকার কর্মী।
একই সঙ্গে তিনি একটি ভিডিও ট্যুইট করেছেন। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে বালাকোটে ভারতের এয়ার স্ট্রাইকে অন্তত ২০০ জনের নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিচ্ছে পাকিস্তানি সেনা।
গিলগিটের ওই মানবাধিকার কর্মী হাসনান সেরিং ভিডিওটি ট্যুইট করে লিখেছেন, ”বালাকোটে ভারতের এয়ার স্ট্রাইকে ২০০ জনের নিহত হওয়ার খবর স্বীকার করে নিচ্ছেন পাকিস্তানি সেনার কর্মকর্তা।
পাকিস্তানের সরকারের পক্ষ নিয়ে তারা শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদ করছিল। তাই ওপরওয়ালার কাছে তারা বিশেষ মর্যাদা পাবে। ”
সেরিং জানিয়েছেন, ভিডিওর সত্যতা নিয়ে তার মনে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে বালাকোটে কিছু একটা হচ্ছে। আর পাকিস্তান অনেক কিছু লুকিয়ে রাখছে। শেরিংয়ের প্রশ্ন, পাকিস্তান দাবি করছে বালাকোটের জঙ্গলে হামলা চালিয়েছে ভারত। নষ্ট হয়েছে গাছ। তাহলে ওই এলাকা কেন ঘিরে রাখা হয়েছে? এতদিন ধরে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে সেখানে কেন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে?
শেরিংয়ের দাবি, পাকিস্তানের কিছু উর্দু সংবাদমাধ্যমে মৃতদেহ সরানোর বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে জইশ-ই-মোহম্মদও বালাকোটে নিজেদের মাদ্রাসার অস্তিত্ব স্বীকার করে নিয়েছিল। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে বালাকোট ভারতের হামলা সফল হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হানা হয়। শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জইশ-ই-মোহম্মদ। পুলওয়ামা হামলার ১২ দিন পর প্রত্যাঘাত করে ভারত। বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করে বিমান বাহিনী।
কিন্তু ওই হামলায় কোনও ক্ষতি হয়নি বলে একাধিকবার দাবি করছে পাকিস্তান। সেই দাবির সত্যতা নিয়েই ফের প্রশ্ন উঠল।