ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) পুন:নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশন অব্যাহত রয়েছে ৬ শিক্ষার্থীর। সোমবার বিকাল ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে তারা অনশনে বসেন। প্রথমে চারজন শিক্ষার্থী এই অনশনে বসেন, পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন আরও দু’জন।
এরা হলেন- কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাওহীদ তানজিম, পপুলেশন সায়েন্সে বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাঈনউদ্দিন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শোয়েব মাহমুদ, দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনিন্দ্য মণ্ডল। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়া আরও দু’জন শিক্ষার্থী যোগ দেন।
অনশনরত তাওহীদ তানজিম সদ্য অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে ছাত্র পরিবহন পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। আমরণ অনশনে বসা নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান ভিসি মো. আখতারুজ্জামানের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, তা আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম। আমরা যেসব অনিয়মের আশঙ্কা করেছিলাম ডাকসু নির্বাচনে তাই হয়েছে।
তাই অবিলম্বে নতুন করে তফসিল ঘোষণা ও পুন:নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছি।
মো. মাঈনউদ্দিন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল সংসদ নির্বাচনে সংস্কৃতি সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হয়, সেজন্য নির্বাচনের বহু আগেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বেশকিছু দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কোনো দাবি আমলে না নিয়েই মনগড়া নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুক্তির শেষ রাস্তা হিসেবে তাই আমরা আমরণ অনশনে বসেছি।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল সংসদ নির্বাচনে সাহিত্য সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন শোয়েব মাহমুদ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুদণ্ডহীন শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে ভোটচুরির নির্বাচন হয়েছে। আমি চাই, আমার লাশের ওপর ভর করে হলেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের হারানো গৌরব ফিরে আসুক।
অনশনরত অনিন্দ্য মণ্ডল জগন্নাথ হল সংসদ নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলঙ্ক মুছে দিতেই আমাদের এ অনশনে বসা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদেরই আমাদের সঙ্গে বসে যাওয়া উচিত।