বিশ্ব ফুটবলে ‘সিআর-সেভেন’ এখন একটি ব্র্যান্ডের নাম। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নামের দুই আদ্যাক্ষর আর তাঁর জার্সি নম্বর দিয়ে তৈরি এই শব্দটি একটা সময় এক ধরনের পরিচিতি বোঝাতেই ব্যবহৃত হত। হালে এই ‘সিআর-সেভেন’ কিন্তু কোনও যেনতেন শব্দ নয়। বিভিন্ন পণ্যের বাণিজ্যিক অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত এই শব্দটি প্রচুর অর্থ উপার্জনের মাধ্যও বটে। শার্ট, প্যান্ট, জুতা, মোজাসহ বিভিন্ন বিলাসদ্রব্য, এমনকি অন্তর্বাসও বিক্রি হচ্ছে এই নামটি দিয়ে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নিজস্ব ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত এই সিআর-সেভেন মার্কিন মুলুকে প্রবেশ করতে গিয়েই বিপদের কারণ হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ তারকার।
সম্প্রতি সিআর-সেভেন ব্র্যান্ডের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাজারজাত করতে গিয়ে দেখা যায়, এই নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই সেখানে বর্তমান। ‘সিআর-সেভেন’ ব্র্যান্ডের প্রবেশ তাই আতঙ্কিত করে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিকে। সম্ভাব্য ব্যবসায়িক ক্ষতির আশঙ্কায় রোনালদো সিআর-সেভেনের বিপক্ষে এই মুহূর্তে মামলা করার সব প্রস্তুতিও নাকি তারা সম্পন্ন করে রেখেছে।
আপাতত ফুটবলই বাঁচিয়ে দিচ্ছে পর্তুগিজ তারকাকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা, ক্লাব বিশ্বকাপ—সব মিলিয়ে যথেষ্ট ব্যস্ত সময় কাটছে তাঁর। আজ মাদ্রিদে তো কাল মরক্কোয়, একেবারে থিতু হতে পারছেন না কোথাও। আর এই কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের সিআর-সেভেন প্রতিষ্ঠানটির আইনি কাগজপত্র পৌঁছাতে পারছে না রোনালদো হাতে। তারা একবার পর্তুগালে রোনাল্ডোর বাড়ির ঠিকানা আর একবার রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাবের ঠিকানায় এসব কাগজ পাঠালেও এই দুই জায়গার একটিও মামলার কাগজ রোনাল্ডোর হাতে তুলে দিতে রাজি হয়নি।
এদিকে ব্রাজিলীয় তারকা নেইমারকে ‘প্রতারক’ হিসেবে অভিহিত করে মামলা ঠুকে দিয়েছেন এক ব্রাজিলীয় নাগরিক। নেইমারের প্রাক্তন ক্লাব স্যান্তোসের কড়া সমর্থক ওই ব্রাজিলীয়র মূল অভিযোগ, নেইমারের বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া নিয়ে। তিনি অভিযোগ করেছেন, ২০১১ সালের ক্লাব বিশ্বকাপে স্যান্তোস বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে জেনেও বার্সার সঙ্গে চুক্তি-সংক্রান্ত আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিলেন নেইমার। সেবার স্যান্তোস ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে হেরে যায় ৪-০ গোলে। অভিযোগকারী বলেছেন, সেই ম্যাচে মোটেও গা লাগিয়ে খেলেননি নেইমার। এতে তিনি প্রতারিত বোধ করেছেন। পুরো ব্যাপারটিই তাঁর কাছে অনৈতিক মনে হয়েছে।
সব মিলয়ে বেশ বিপাকেই রয়েছেন রোনালদো-নেইমার৷