বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন, দেশটির বিদায়ি রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। দীর্ঘ দেড় ঘন্টার বৈঠকে তারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
‘অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সম্পর্ক অনেক দৃঢ়’- দাবি করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আশাকরি দুই দেশের সম্পর্কের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
মজীনা বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, আশাকরি তা অতিক্রম করে বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। এ দেশে যুক্তরাষ্ট্রের যে বিনিয়োগ রয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে। এখানে যুক্তরাষ্ট্র আরো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।’
বৈঠকে বাণিজ্য খাত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে- মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘বৈঠকে বাংলাদেশের শ্রমিক কর্মপরিবেশ, ইপিজেড শ্রমিক ইস্যু, চামড়া ও ওষুধ শিল্প সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সব কয়টি খাতেই বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।’
‘তৈরি পোশাকের পর বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের উত্থান ঘটবে’- মন্তব্য করে মজীনা এও বলেন, ‘পোশাক খাতের মতো বাংলাদেশের চামড়াশিল্প বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করবে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের উত্থান ঘটবে। আমি ট্যানারি শিল্পের বহু কারখানা পরিদর্শন করেছি। এ শিল্পের কর্মপরিবেশে আমার মনে হয়েছে, এ খাত অতিদ্রুত উন্নতি করবে।’
পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বিজিএমই এবং আইএলওসহ আমরা কারখানা পরিদর্শনে গিয়েছি। রানা প্লাজার ঘটনার পর এ দেশের মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কর্মপরিবেশের উন্নতি হয়েছে। পাশাপাশি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
বৈঠক সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের কোথাও জিএসপি সুবিধা নেই। যেহেতু এ বিষয়টি এখন নেই, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা কাঠামো চুক্তির (টিকফা) ভিত্তিতে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য চলবে।’