স্পেনের বাংলাদেশ দূতাবাসের হল রুমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় স্পেনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর শিহরণ জাগানো ভাষণটি ইউনেস্কোর তরফ থেকে বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় ঐতিহাসিক এই দিনটি পেয়েছে নতুন মাত্রা।
রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, এ ভাষণ বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ও স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রেখেছে। এ ভাষণের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালিকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রস্তুত করেছিলেন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুধু ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই অনুপ্রাণিত করেছিল তা নয়, বরং এ ভাষণ যুগে যুগে বিশ্বের সব অবহেলিত ও বঞ্চিত জাতি-গোষ্ঠীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে থাকবে।
এসময় তিনি ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ।
এসময় উপস্তিত ছিলেন, প্রথম সচিব শরিফুল ইসলামসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। সভায় প্রধানমন্ত্রীর বানী পাঠ করে শোনানো হয়।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন, দূতাবাসে হেড অব চ্যান্সারি ও মিনিস্টার হারুন আল রাশিদৎ।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।