টেস্ট সিরিজে হারতে হলেও জোহানেসবার্গের প্রথম একদিনের ম্যাচে দাপুটে জয় তুলে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেঞ্চুরিয়নের দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচেও জয়ের ধারা বজায় রাখল প্রোটিয়ারা। সুপার স্পোর্ট পার্কে শ্রীলঙ্কাকে ১১৩ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাস্ত করল দক্ষিণ আফ্রিকা।
টসে জিতে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
শুরুটা দারুণ করলেও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৪৫.১ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়ে যায় ২৫১ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট হাতে থাকা শ্রীলঙ্কা ৩২.২ ওভারে মাত্র ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায়।
ওয়ান্ডারার্সে ফ্যাফ ডু’প্লেসির শতরানে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ছিনিয়ে নিলেও দলের পারফরমেন্সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি’কক।
ডু প্লেসির অপরাজিত ১১২ রানের পাশাপাশি জো’বার্গে ৮১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। সেঞ্চুরিয়ানের ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন ডি’কক। ব্যক্তিগত ৯৪ রানে থিসারা পেরেরার বলে ডিকওয়েলার হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। ৭০ বলের ইনিংসে ১৭ টি চার ও একটি ছক্কা মারেন ডি’কক।
তাকে যথাযোগ্য সংগত করেন ডু’প্লেসি। যদিও ৬৬ বলে ৫৭ রান করে তিনিও থিসারা পেরেরার শিকার হন। হাফসেঞ্চুরি করার পথে ৫ হাজার ওয়ান ডে রানের মাইলস্টোন টপকে যান ডু’প্লেসি। তিনি ১২৫ ইনিংসে এমন কৃতিত্ব অর্জন করেন৷ হাসিম আমলা ও এবি ডি’ভিলিয়ার্স ছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে ডু’প্লেসির থেকে দ্রুত ৫ হাজার রান করেননি আর কোনো প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান।
বাকিদের মধ্যে বলার মতো রান শুধু হেনড্রিক্সের ২৯ ও মিলারের ২৫। শ্রীলঙ্কার হয়ে থিসারা পেরেরা ৩টি এবং মালিঙ্গা ও ডি’সিলভা ২টি করে উইকেট নেন৷ একটি করে উইকেট ফার্নান্দো, রজিতা ও ধনঞ্জয়ার।
শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন ফার্নান্দো। কুশল মেন্ডিস করেন ২৪ রান৷ থিসারা পেরেরার সংগ্রহ ২৩। কাগিসো রাবাদা ৪৩ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পথে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মাইলস্টোন টপকে যান। দু’টি করে উইকেট নেন এনগিদি, নর্ৎজে ও ইমরান তাহির। ম্যাচের সেরা হয়েছেন ডি’কক। এই জয়ের সুবাদে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি তিনটি ম্যাচের একটিতে জিততে পারলেই ওয়ানডে সিরিজের দখল নেবে প্রোটিয়ারা।