প্রাণকৃষ্ণ বিশ্বাস প্রান্ত, বৃহত্তর বরিশাল ব্যুরো প্রধান ঃ পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের বানিয়ারীর অবসর প্রাপ্ত সচিব জগদ্বীশ চন্দ্র বিশ্বাসের গ্রামের বাড়ীতে অগ্নিসংযোগসহ সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, খুন ও মন্দির ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের নাজিরপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে আজ সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা সদরের পূবালী ব্যাংক চত্ত্বরে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক মাস্টার সূখরঞ্জন বেপারী, সদস্য সচিব ও পিরোজপুর জেলা পরিষদের সদস্য তুহিন হালদার তিমির, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা শাখার, সভাপতি মৃদুল কান্তি মাঝি, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার রায়, ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুজিত শিকদার, দীপ্তেন মজুমদার প্রমূখ।
বক্তারা অবসর প্রাপ্ত সচিব জগদ্বীশ চন্দ্র বিশ্বাসের গ্রামের বাড়ীতে অগ্নিসংযোগসহ সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, খুন ও মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী করেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়ারী গ্রামের সঞ্জয় বিশ্বাসের ভোগ দখলীয় জমি দখল করতে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল সরদারের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই জমিতে প্রবেশ করে তাদের মাছের ঘের থেকে মাছ লুট-পাট শুরু করে। এ সময় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ওয়াদুদ তাদের বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে। বিষয়টি তারা মাটিভাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা পুলিশদের ওপর চড়াও হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ ঘটনার জের ধরে সন্ত্রাসীরা ওইদিন রাত অনুমান ৩টার দিকে ওই মাছের ঘেরে পার্শ্ববর্তী অবসর প্রাপ্ত সচিব জগদ্বিশ চন্দ্র বিশ্বাসের গ্রামের বাড়ীর বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে পৌছানোর আগেই ঘরে থাকা মালামালসহ বসতঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় স্থানীয়রা ইউপি সদস্য নজরুল সরদারকে দায়ী করেছেন। তবে অভিযুক্ত নজরুল সরদার এ ঘটনায় দায়ী নন বলে দাবী করেন।