মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খোলা রাখতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার জাতিসংঘের পক্ষ থেকে শরণার্থীদের অবাধে প্রবেশে সীমান্ত খোলা রাখতে এ আহ্বান জানানো হয়।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ময়করভাবে জাতিগত নির্যাতিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমর্থন দিয়েছে। সংকটের সময় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য এটা নিরাপদ স্বর্গ।
এটা গুরুত্বপূর্ণ যে ঢাকা শরণার্থীদের ঢুকতে অনুমতি অব্যাহত রাখা।
অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের সময় সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এর বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
কানাডা ভিত্তিক অনটারিও ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (ওআইডিএ) তথ্যমতে, ২৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাদের হত্যা করেছে মিয়ানমারের সরকারি নিরাপত্তাকর্মীরা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রায় ১৮ হাজার রোহিঙ্গা নারী ও কিশোরী ধর্ষিত হয়েছে মিয়ানমারের সেনা ও পুলিশের দ্বারা। এ ছাড়া ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গা বাড়িতে আগুন ও ১ লাখ ১৩ হাজার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানান, বাংলাদেশ অতিরিক্ত শরণার্থীর চাপ সামলাতে পারছে না। অভিযুক্ত মিয়ানমার শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে পলায়নরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে।