নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পেরিয়ে পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানার কথা জোর দিয়ে বলে আসছে ভারত। দিল্লি দাবি করে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আঘাত হানে ভারতীয় বিমান বাহিনী।
তবে বিমান বাহিনীর পরিচালিত এয়ার স্ট্রাইকের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো ছবি এখনও প্রকাশ করেনি ভারত। আর তা নিয়ে বিরোধী দলের তোপের মুখে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বিমান বাহিনীর প্রশংসা করলেও স্ট্রাইক সম্পর্কে তথ্য চেয়েছেন। একই পথে হেঁটেছেন উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিমো মায়াবতী।
তবে সেদিন কী হয়েছিল তা জানাতে পারে উপগ্রহ চিত্র।
আর তাই উপগ্রহ চিত্র গুলোকে একান্ত গোপনীয় তথ্য বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। দিল্লি জানিয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ সীমানা পেরিয়ে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে হানা দিয়েছিল ভারতীয় বিমান বাহিনী। বিমান বাহিনীর ১২টি মিরাজ ২০০০ বিমান বোমা ফেলে ধ্বংস করেছে জইশ ঘাঁটি।
এদিকে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি’র দাবি, দুটি আলাদা সূত্র থেকে উপগ্রহ চিত্র পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে দেখা যাচ্ছে বালাকোটে জইশের ছ’টির মধ্যে পাঁচটি ঘাঁটিতে আঘাত হানতে পেরেছে বাহিনী। ওই পাঁচটি বাড়ির মধ্যে বেশ কয়েকটি ছোট ছিদ্র দেখা যাচ্ছে। এগুলি দিয়েই ঢুকেছিল স্পাইশ ২০০০ গ্লাইড বোমা।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই বোমাগুলো কোনো বাড়িতে গিয়ে লাগলে সেটি ধ্বংস নাও হতে পারে কিন্তু ভেতরে ঢুকে নিজের কাজ করে দেয়। এই গুণের জন্য অনেকে গ্লাইড বোমাকে অদৃশ্য অস্ত্রও বলেন।
একটি সূত্র বলছে, বালাকোটের আকাশে মেঘ জমে থাকায় ভারতীয় উপগ্রহ সুস্পষ্ট ছবি তুলতে পারেনি। ভারতের এই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অস্ট্রেলিয়ার সাইবার পলিসি সেন্টার। তাদের তরফে নাথান রাসার জানিয়েছেন, ভারতের দাবি সংশয়ের উপরে নয়।
এদিকে রবিবার সকালে দ্য প্রিন্ট একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বিশিষ্ট সাংবাদিক তহা সিদ্দিকি একটি অডিও টেপ সম্পর্কে লিখেছেন। সেটি হামলার দু’দিন বাদে রেকর্ড হয়েছে। তাতে জইশের তরফ থেকে ভারতের হামলার প্রসঙ্গ স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। ইতালির এক সাংবাদিকও দাবি করেছেন ভারতের আঘাত হানা জায়গা থেকে কয়েকটি দেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।