ওমানে বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাটে ন্যাশনাল ক্যারিকুলামে ইংরেজি ভার্সন চালুর দাবি জানিয়েছেন ড্রেস কোড কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ সমিতি ওমান। বিশেষ করে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে এ লেবেল পর্যন্ত ন্যাশনাল ক্যারিক্যুলামে পাঠদান করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে লন্ডনের এডেক্সেল সিলেবাস অনুযায়ী পাঠ দান করা হচ্ছে। এতে করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক বিষয়ে একেবারেই কোনো রকম ধারণা নিতে পারছেন না বলে মনে করছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
ওমানস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুদান ও বাংলাদেশ দূতাবাসের বিশেষ সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাট। স্কুলের জন্য শুরু থেকে অনেক মহৎ মানুষ পরিশ্রম করেছেন ও এখনো রাত-দিন পরিশ্রম করে চলেছেন।
শুরুতে অনেক শিক্ষক কম বেতনে কাজ করেছেন। সব অধ্যক্ষরা চেষ্টা করেছেন স্কুলকে এগিয়ে নিতে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটিতে বাংলাদেশি প্রবাসী ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখার সুযোগ করে দিয়েছে।
ওমান প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে গর্ব করার মত একটি প্রতিষ্ঠান। তবে বর্তমানে লেখাপড়ার মান ও স্কুলের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অভিভাবকদের অনেকে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অভিভাবকদের অভিযোগ, অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণে স্কুলের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে বলতে হয় পড়া-লেখার মান নিম্নগতি।
ওমানের এডুকেশন মিনিস্ট্রি এমন কার্যকলাপে অসন্তুষ্ট বলে অভিভাবকরা ধারণা করছেন। স্কুল নিয়ে যে কোনো অপতৎপরতা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যে কোনো কিছুর বিনিময়ে রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি বলে মনে করছেন তারা।
দূতাবাস ও অভিভাবক এবং কমিউনিটির সকলের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটিকে আবারও ভাল অবস্থানে আনা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা। এ জন্য অভিজ্ঞ ও শিক্ষক টিম দরকার এবং দরকার একজন দক্ষ অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষ হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত কাউকে নিয়োগ না দেয়ার পক্ষে তারা।
ওমান সরকারের কাছে স্কুলের নষ্ট হওয়া সুনাম পুনরায় ফিরে পেতে সকলকে এগিয়ে এসে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমিতির নেতৃবৃন্দ ।