ঢাকা: পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে বিমান হামলা চালিয়ে দেশবাসীর কাছে অনেকটা হিরো হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী নির্বাচনের আগে নিজেকে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঘটনাচক্রে মোদির কোর্ট থেকে বল বেরিয়ে গেছে।
গেল মঙ্গলবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ঢুকে বোমা নিক্ষেপ করে ভারতীয় বিমানবাহিনী। তারা দাবি করে, এ হামলায় অন্তত ২০০-৩০০ জঙ্গি নিহত হয়েছে। কিন্তু এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। ভারত তাদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণও দেখাতে পারেনি।
বিপরীতে বুধবার ভারতের দুই যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান। ভূপাতিত করা একটি বিমানের পাইলট অভিনন্দনকেও আটক করা হয়। ফলে সাম্প্রতিক যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় মাঠ থেকে নরেন্দ্র মোদি যেন কিক আউট হওয়ার উপক্রম। আটক পাইলটকে জীবিত ফেরত আনতে দেশের অভ্যন্তরে তার ওপর চাপ বাড়তে থাকে।
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নজর এখন আটক পাইলটের দিকে। পাকিস্তান ইচ্ছা করলে অবৈধ অনুপ্রবেশ বা সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের দায়ে আটক ভারতীয় পাইলটের বিচার করতে পারে। কিন্তু তা না করে আজ শুক্রবার তাকে মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ইমরান খান বেশ সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।
অপর দিকে মোদি পাকিস্তান বিরোধীতার উন্মাদনা তুলে দেশের অভ্যন্তরে যে রাজনৈতিক সুবিধা তৈরি করতে চেয়েছিলেন তা যেমনি সফল হয়নি তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ইমরান খানের কাছে পিছিয়ে পড়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ঘুড়ির নাটাই রয়েছে পাকিস্তানের হাতেই। তবে বেশ হিসাব-নিকাশ করে এগোচ্ছেন ইমরান খান। অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের রোষাণলে পড়ার পাশাপাশি ট্রলের শিকারও হচ্ছেন। সবদিক বিবেচনায় অতীতে ক্রিকেটের মাঠে ছক্কা হাকানো ইমরান খান আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও ছক্কা হাকালেন।