হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ ঢাকায় গিয়ে যেসব বইপ্রেমীরা বই কিনতে পারেন না তাদের জন্য স্থানীয়ভাবে বইপ্রেমী ও প্রকাশকদের নিয়ে বই ও তথ্য প্রযুক্তির মেলা আয়োজন করেন কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার মাঠে।
বই মেলায় শেষের দিনই মূলত বেচা-বিক্রি হয় বেশি। কিন্তু সেই শেষের দিনের বিকিকিনিই পণ্ড করে দিয়েছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের ২১ শে বই ও তথ্য প্রযুক্তি মেলা।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে মষুলধারে বৃষ্টি হওয়ায় একদমই জমেনি তুষভান্ডার পাবলিক লাইব্রেরী আয়োজিত তুষভান্ডার খেলার মাঠে।
এদিকে বই ও তথ্য প্রযুক্তি মেলার সময় বাড়ানোর জন্য প্রশাসনকে মেলার আয়োজকরা চিঠি দিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে,কোনো স্টলে বিক্রি দূরের কথা বৃষ্টির কারণে কার্টন থেকে তারা বই বের করারই সুযোগ পাননি। বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে কিছু ক্রেতা মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলেও পরে বৃষ্টিতে ভিজে জবুতবু হয়ে তাদের বাড়ি ফিরতে হয়েছে।
বিকেলে স্টল মালিকদের বৃষ্টির ঝাপটা থেকে তাদের বইগুলো রক্ষা করতে কার্টনে রাখা বই পলিথিন দিয়ে ঘিরে রাখতে দেখা গেছে। স্টলের সামনে ছিল পানি।
মেলা প্রাঙ্গণের বেশিরভাগ স্থানেই ছিল কাদা। এর পরেও স্টল মালিকেরা বিক্রির আশায় সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলেন।
এদিকে বৃষ্টির কারণে শেষ দিন বিক্রি না হওয়ায় মেলার সময় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি করেছেন ৩৫ টি স্টল মালিকেরা।
মেলায় স্টল নেয়া তুষভান্ডার মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, বই মেলায় শেষ দিনই মূলত বিক্রি হয় বেশি।
বৃষ্টিতে শেষ দিনটা পণ্ড হয়ে গেল। সে বিবেচনায় মেলার সময় একটা দিন বাড়ানো উচিৎ।
এ বিষয় কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান বলেন, একুশে বই ও তথ্য প্রযুক্তি মেলায় শেষ দিনই মূলত ভিড়টা থাকে বেশি। শেষ দিনে বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেলা। তবে অনেক লেখক-কবিও এ দাবির সঙ্গে সহমত নিয়ে দু’দিন বাড়ানো হবে।
এবং একুশে বই ও তথ্যপ্রযুক্তি মেলায় সমাপনী দিন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।