জাসদ একাংশের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দিন খান বাদল বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় গ্রহণের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। সরকারের লক্ষ্যও দুর্নীতি কমিয়ে আনা। তবে ঘোষণার আর বাস্তবতার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। দুর্নীতি হ্রাসের কথা বলা হলেও বহুগুণ সম্পদ উচ্চবিত্তদের হাতে হস্তান্তরিত হচ্ছে।
আগে চুরি হতো লুকিয়ে, এখন অনেকটাই প্রকাশ্য হচ্ছে। ’
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সংসদের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এক টাকা চুরি করলে হয় চোর, আর শত- হাজার কোটি চুরি করলে বলা হয় বাপের বেটা। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া প্রকাশ্য চুরি করে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে। অথচ আদালত তাদের ৫৮ বার সময় দিয়েছে। আর দেশে একটা দুষ্টচক্র সৃষ্টি হয়েছে। এই দুষ্টচক্রের উপর এখনই চরম আঘাত হানা উচিত।
ড. কামাল হোসেনের প্রতি প্রশ্ন রেখে মইন উদ্দিন খান বাদল বলেন, নির্বাচনে কামাল হোসেন সাহেবরা প্রতিদিনই বলেন, লেভেল প্লেইং ফিল্ড। টাকার বেলায় তো লেভেল প্লেইং ফিল্ড বলেন না।
নির্বাচন কমিশন থেকে তো ২৫ লাখ টাকায় নির্বাচন করতে বলা হয়েছে। শুধু এইটা, ওইটা শত কথা বলেন। টাকার টা লেভেল প্লেইং ফিল্ডের বিষয় না? আমরা যারা আছি, যারা ভবিষতে আসবে কত টাকা খরচ করেছি বা করতে পেরছে। অনেকে বলেছি ৮ লাখ টাকা খরচ করে হয়েছি, এটা ঠিক না। পার্লামেন্টকে উপরে তুলতে হলে সত্যের কঠিন ভিত্তির উপর দাঁড়াতে হবে। ঘৃণার বিষয় ছড়িয়ে ড. কামাল হোসেনরা কোন গণতন্ত্র আনতে পারবেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাদল বলেন, অনেক জায়গায় আমরা সংবিধান লঙ্ঘন করছি কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। এমপিদের সামনে সরকারি কর্মকর্তাদের বসা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভবিষতে এমন কোন অনুষ্ঠানে যাব না যেখানে আমার সামনে সরকারি কর্মকর্তা বসবে, আমি পেছনে বসব। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে অনুসাশন আছে, কোনো সরকারি কর্মচারি সংসদ সদস্যের উপরে থাকতে পারবে না। বিষয়টি ভবিষতে মেনে চলতে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।