দিপঙ্কর গৌতম: মফস্বলে থেকেও যারা জাতীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন নিখিল সেন তাদের একজন। দক্ষিণ বঙ্গের প্রান কেন্দ্র বরিশালে থেকে তিনি সারাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতেন। নিখিল সেন ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রতিথযশা নাট্যকার ও সংস্কৃতিকর্মী। তিনি একজন অভিনয় শিল্পী, আবৃতিশিল্পী যেমন ছিলেন তেনি ছিলেন ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা ।
এক সময় কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথেও যুক্ত ছিলেন। তবে শিল্পকলার বহুমাত্রিক অভিজ্ঞান তার থাকলেও আবৃত্তি মাধ্যমেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। আবৃত্তিতে অবদান রাখার জন্য ২০১৫ সালে শিল্পকলা পদক এবং নাটকে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তিনি ২০১৮ সালে একুশে পদক লাভ করেন। বরিশালের সাংস্কৃতি অঙ্গনে তিনি সবার নিখিলদা’ হয়ে উঠেছিলেন। বরিশালের বাইরেও নিখিলদার ব্যাপ্তি ছিলো দেশময়।
এই সংস্কৃতি সংগ্রামী ১৯৩১ সালের ১৬ এপ্রিল বরিশালের কলস গ্রামে নিখিল সেন জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম নিখিল সেনগুপ্ত। তার বাবার নাম যতীশ চন্দ্র সেনগুপ্ত ও মা সরোজিনী সেনগুপ্ত। তিনি ছিলেন বাবা -মায়ের দশ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ।
সিরাজের স্বপ্ন নাটকে সিরাজ চরিত্রে অভিনয় করার মধ্য দিয়ে নাট্যজীবন শুরু করেন নিখিল সেন। এরপর তিনি অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন। নির্দেশনা দিয়েছেন ২৮টি নাটকে।
প্রথিতযশা এই ব্যক্তি উদীচী ,বরিশাল নাটকের সাথে আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন।তিনি তার কর্মময় ময় জীবনের স্বীকৃতি স্বরূপ অজস্র পুরস্কার পেয়েছেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা (১৯৯৬, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সম্মাননা (১৯৯৯) শহীদ মুনীর চৌধুরী পুরস্কার (২০০৫), শিল্পকলা পদক (২০১৫), শিল্পকলায় একুশে পদক (২০১৮)।
বর্নাঢ্য জীবনের অধিকারী নিখিলদা দুপুর ১২.৪০ মিনিটে লোকান্তরিত হয়েছেন। ঝাউতলার দ্বিতীয় গলির শোকের ছাড়ায় সারাদেশ ছুয়েঁছে। এক ছেলে ২ মেয়ে,স্ত্রী ও অজস্র গুনগ্রাহীকে রেখে নিখিলদা চলে গেছেন নিরন্তরের পথে।আপনাকে ভুলবো না নিখিলদা। আপনাকে প্রনাম dipongker dada