তালেবানি হামলা : পোষা সাপের ছোবল!

সারাবিশ্ব

pic-17_164419তালেবান নামে যে ‘বিষধর সাপ’ সৃষ্টিতে সহযোগিতা করে প্রতিবেশী আফগানিস্তানে কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন করতে চেয়েছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই, দুই দশক পর সেই সাপই কামড়েছে খোদ পাকিস্তানকেই। দিনটি ১৬ ডিসেম্বর, পাকিস্তানিদের কাছে তাদের জাতীয় ইতিহাসের আরেকটি ‘অভিশপ্ত’ বা ‘কর্মফলের’ দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকায় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর আত্মসমর্পণ আজও তাদের কাছে ‘ঢাকা পতন’ (ফল অব ঢাকা) দিবস। আর ২০১৪ সালের এই দিনে তালেবানের পৈশাচিক প্রতিশোধমূলক হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ১৪১ জন, যার মধ্যে ১৩২ জনই শিশু, যাদের বেশির ভাগ পাকিস্তানি সেনা সদস্যদেরই সন্তান এবং সেনা নিয়ন্ত্রিত স্কুলেই পড়ত।
অবশ্য এই বিষধর সাপ সৃষ্টির মূল পরিকল্পনাকারী যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগেই বড় মূল্য দিয়েছে- ৯/১১ ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে। ২০০৯ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের এক শুনানিতে দেশটির তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন তালেবান সৃষ্টিতে তাঁর দেশের মুখ্য ভূমিকার কথা স্বীকার করেন। শুনানিতে তালেবান সৃষ্টির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি একে অভিহিত করেছিলেন আফগানিস্তানে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের আধিপত্য ঠেকানোর চমকপ্রদ এক কৌশল হিসেবে।
তালেবান সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার তথ্য-প্রমাণ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন, নিবন্ধ ও গ্রন্থেও উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাসা-লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড পি ফরসিথ তাঁর ‘এনসাইক্লোপিডিয়া অব হিউম্যান রাইটস’ (২০০৯) গ্রন্থে লিখেছেন, পাকিস্তানের অর্থায়ন ও পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৯৪ সালে তালেবান সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিটিশ সাংবাদিক, লেখক ও উপস্থাপক ওয়েন বেনেট-জোন্স তাঁর ‘পাকিস্তান : আই অব দ্য স্টর্ম’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘আইএসআইয়ের অগণতান্ত্রিক ঝোঁক কেবল নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; সংস্থাটি তালেবান আন্দোলন সৃষ্টিতেও বড় ভূমিকা রেখেছে।’
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী তালেবান সৃষ্টির পর থেকে তাদের আর্থিক, সামরিক ও রসদ সহায়তা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য ছিল তালেবান সৃষ্টি করে আফগানিস্তান থেকে তৎকালীন সোভিয়েতদের বিদায় করা। অন্যদিকে পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আফগানিস্তানে পাকিস্তানপন্থী সরকারকে ক্ষমতায় বসানো। পাকিস্তানের পাশাপাশি সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও তালেবানের সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
দুই দশকের বিনিয়োগে সৃষ্ট তালেবান নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে একপর্যায়ে নিজেকে গুটিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তালেবানের প্রতি পাকিস্তানের সহায়তা অব্যাহত থাকে। ২০০০ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তালেবানের সামরিক সহায়তা দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সে সময় জাতিসংঘের মহাসচিব পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের ভূমিকারও সমালোচনা করেন। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে।
পাকিস্তানের সাবেক যোদ্ধা, সাংবাদিক এবং নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক আহমেদ রশিদের বরাত দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ‘এশিয়া-প্যাসিফিক কলেজ অব ডিপ্লোমেসির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক উইলিয়াম ম্যালে তাঁর ‘দি আফগানিস্তান ওয়ারস’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ পাকিস্তানি আফগানিস্তানে তালেবানের পক্ষে প্রশিক্ষণ নিয়েছে ও যুদ্ধ করেছে।’
১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কূটনীতিক পিটার টমসেন তাঁর ‘ওয়ারস অব আফগানিস্তান’ গ্রন্থে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার ধ্বংসের দিন ৯/১১ পর্যন্ত পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও আইএসআই কর্মকর্তারা কয়েক হাজার নিয়মিত পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে আফগানিস্তানে যুদ্ধে সম্পৃক্ত ছিলেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্রের তথ্যানুযায়ী, কেবল ২০০১ সালেই আফগানিস্তানে তালেবানবিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রায় ২৮ হাজার পাকিস্তানি নাগরিক, প্রায় ১৫ হাজার আফগান তালেবান ও প্রায় তিন হাজার আল-কায়েদা যোদ্ধা অংশ নেয়। আফগানিস্তানে আহমেদ শাহ মাসুদের বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং তালেবান ও ওসামা-বিন লাদেনের পক্ষে লড়াই করতে কয়েক হাজার পাকিস্তানিকে পাঠানোর পেছনে সে দেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফের বড় ভূমিকা ছিল। আফগানিস্তানে লড়াইয়ের জন্য ২৮ হাজার পাকিস্তানি নাগরিকের মধ্যে আট হাজারই মাদ্রাসা থেকে নিয়োগ করা হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়, আফগানিস্তানে তালেবান যোদ্ধাদের ২০ থেকে ৪০ শতাংশই পাকিস্তানি। তবে পাকিস্তান বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
১৯৯৭ সালে তালেবানরা আফগানিস্তানে আহমেদ রশিদ দোস্তুমের প্রধান সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়। লেখক ফ্র্যাংক ক্লিমেন্টস তাঁর ‘কনফ্লিক্ট ইন আফগানিস্তান : অ্যা হিস্টোরিক্যাল এনসাইক্লোপিডিয়া’ গ্রন্থে লিখেছেন, আহমেদ রশিদ দোস্তুম অভিযোগ করেছেন, হামলার সময় তালেবানের পাশাপাশি দেড় শ পাকিস্তানি কমান্ডোও অংশ নেয়। ১৯৯৮ সালে ইরান অভিযোগ করেছিল, তালেবানের সহযোগিতার অংশ হিসেবে পাকিস্তানের জঙ্গি বিমান আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফে বোমা ফেলেছে। ওই বছর রাশিয়াও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে সেনা পাঠানোর অভিযোগ তোলে।
১৯৯৭ সালে তালেবানরা কাবুল দখলে নেওয়ার পর পাকিস্তান একাই প্রায় চার কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছিল তালেবানকে। ২০০০ সালেও একটি ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আফগানিস্তানে আল-কায়েদা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে আইএসআইয়ের সক্রিয় ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। মূলত ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে ওসামা বিন লাদেন, আয়মান আল-জাওয়াহিরির মতো ব্যক্তিরা অত্যন্ত প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারসহ যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক স্থানে আল-কায়েদার সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান তালেবানের সহযোগিতা বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। এর পরও ওই বছরের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর যুদ্ধ বিমানে করে আফগানিস্তান থেকে তালেবান, আল-কায়েদা যোদ্ধা ও আইএসআই চরদের নিরাপদে পাকিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নিয়ে আসা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফকে ফোন করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেছিলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এখন ঠিক করুন, আপনি আমাদের পক্ষে, না সন্ত্রাসের পক্ষে।’
জেনারেল পারভেজ মোশাররফ তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী রিচার্ড আর্মিটেজ তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, তালেবানের সহায়তা বন্ধ না করলে বোমা মেরে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
৯/১১-এর পরও তালেবানের সহযোগিতা করার অভিযোগ পাকিস্তান বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে পাকিস্তানের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় তালেবানের উপস্থিতি বিভিন্ন সময় আলোচিত হয়েছে। ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদা নেতা লাদেনকে হত্যা করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের কাছে পাকিস্তানের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মাদ্রাসাগুলো জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর। বিভিন্ন সময় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় সেখানে বেসামরিক মানুষের পাশাপাশি শীর্ষ জঙ্গি-সন্ত্রাসীরাও নিহত হয়েছে।
২০০৭ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) নামে একটি জোট। এটি পাকিস্তানি তালেবান নামেও পরিচিত। বেনজির ভুট্টোকে হত্যাসহ বেশ কিছু বড় হামলার অন্যতম প্রধান সন্দেহভাজন বায়তুল্লাহ মেসুদের নেতৃত্বে ১৩টি ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী মিলে টিটিপি গঠন করে। পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা, শরিয়া আইন বাস্তবায়ন ও আফগানিস্তানে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়াই টিটিপির লক্ষ্য। ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি তালেবানের অবস্থানকে আফগান তালেবানরাও সমর্থন করে। পাকিস্তানি তালেবানের সঙ্গে আফগান তালেবানের লক্ষ্যের পার্থক্য মূলত একটিই। আর তা হলো- পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো আফগান তালেবানের উদ্দেশ্য নয়। অন্যদিকে পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাকিস্তান তালেবানরা একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার পেশোয়ারে শিশুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে টিটিপি একে উপজাতি অধ্যুষিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর অভিযানের জবাব হিসেবে অভিহিত করেছে।
পাকিস্তানের পত্রিকা ডেইলি নিউজের বার্তা সম্পাদক মনির আহমেদ বিবিসিকে বলেছেন, তালেবান অধ্যুষিত এলাকায় শিক্ষার আলো এবং ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কোনো স্বচ্ছ ধারণা নেই। এসব এলাকার ছেলেমেয়েদের আধুনিক শিক্ষা থেকে দূরে রাখতেই তালেবান ইসলামের নাম ব্যবহার করে নানা ধরনের হামলা চালাচ্ছে। এর আগে স্কুলছাত্রী মালালা ইউসুফজাইয়ের ওপর হামলা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ তালেবানের গত মঙ্গলবারের হামলা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘তালেবান অর্থ শিক্ষার্থী। অথচ কী নির্মম পরিহাস যে তারাই নৃশংসভাবে হত্যা করল শিক্ষার্থীদের।’ তিনি বলেন, ‘দুটো জিনিস আমাদের খেয়াল করা দরকার। প্রথমত, পাকিস্তানে এ ধরনের হামলা নতুন নয়। তালেবান এর আগেও বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে। কিন্তু শিশুদের ও স্কুলের ওপর হামলা এবং তার যে আকার আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেটি ভয়াবহ। এক অর্থে এর আগে আমরা এমনটি পাকিস্তানে দেখতে পাইনি। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে সেনাবাহিনীর একেবারে নাকের ডগায়; সেনাবাহিনীর বা প্রতিরক্ষা বাহিনীর সন্তানদের স্কুলের ওপর। এগুলো প্রমাণ করছে, তালেবান ক্রমশই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। অন্যদিকে তালেবানের মধ্যে বেপরোয়া ভাব তৈরি হয়েছে।’
সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে আলী রিয়াজ বলেন, সেনাবাহিনী এখন রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর বড় রকমের চাপ সৃষ্টি করবে বলে তিনি মনে করেন। শুধু উত্তর ওয়াজিরিস্তান নয়, প্রয়োজনে অন্যান্য এলাকায়ও সেনাবাহিনীর অভিযানে যাতে রাশ টেনে না ধরা হয়- রাজনীতিকদের কাছ থেকে তারা এটিই চাইবে।
আলী রিয়াজ বলেন, অতীতে বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে, ‘তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থার যোগাযোগ আছে। এখন ওই হামলার মধ্যে কী প্রমাণিত হলো- তাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই নাকি অন্য কোনো রূপ আমরা দেখতে পাচ্ছি? এ প্রশ্নটি মোকাবিলা করার মতো যথেষ্ট শক্তি পাকিস্তানের বেসামরিক প্রশাসনের আছে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে।’ তিনি বলেন, এ ঘটনার বড় ধরনের রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আলী রিয়াজ আরো বলেন, মালালা ইউসুফজাইয়ের প্রতি সারা বিশ্বের সমর্থন, নোবেল পুরস্কার দেওয়া- এটিকেও চ্যালেঞ্জ করেছে তালেবান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *