ঢাকা: কয়েক দফা তল্লাশির পরও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে কিভাবে অস্ত্রধারী উঠলো? এমন প্রশ্ন তুলেছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণ যাত্রীদেরও জিজ্ঞাসা যেখানে একটি গ্যাস লাইটার বা দেয়াশলাই নিয়ে বিমানের ফ্লাইটে
যাওয়া যায় না সেখানে ঢাকা থেকে ‘পিস্তল’ এবং ‘বিস্ফোরক’ নিয়ে কিভাবে বিমান পর্যন্ত গেল অস্ত্রধারী ‘মাহাদি’? কেনই বা ওই ব্যক্তি বিমান ছিনতাই করতে চেয়েছিল? এ প্রশ্নও সামনে আসছে। ময়ূরপঙ্খী নামের বিমানের উড়োজাহাজটি বোয়িং-৭৩৭ মডেলের। ১৪২ জন যাত্রী ও পাঁচজন ক্রু নিয়ে এটি ঢাকা থেকে উড়াল দেয় দুবাই’র উদ্দেশ্যে।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট হওয়ায় সব যাত্রীরই বোর্ডিং পাস নিয়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা তল্লাশি পার হয়ে বিমানে উঠার কথা। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহেদুল ঘটনার বিষয়ে বলেন, এটা সত্যিই অনাকাঙ্ক্ষিত। হঠাৎ করেই অপ্রত্যাশিত একটা ঘটনা ঘটে গেল। যতদূর জানতে পেরেছি, বিমানে একজন অস্ত্রধারী ব্যক্তিকে পাওয়া গেছে।
সেটা যদি সত্যিই হয় তাহলে আমাদের জানতে হবে এই অস্ত্রধারী কী করে বিমানে উঠলো? এটা একটি বড় প্রশ্ন। এখানে নিরাপত্তার ত্রুটি থাকতে পারে। এদিকে, অভিযানের পর রাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ছিনতাই চেষ্টাকারী ব্যক্তি কিভাবে অস্ত্র নিয়ে বিমানে উঠতে পেরেছে তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
এটি নিরাপত্তা ত্রুটি কি না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তের পর জানানো যাবে। এদিকে, চট্টগ্রামেও এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন বিমান কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে কেউই স্পষ্ট কিছু বলতে পারেন নি। বিমান এবং সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন তদন্তের পরই সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে। বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিয়ে এবারই প্রশ্ন ওঠেনি। নিরাপত্তায় বড় ধরনের ত্রুটি থাকার অভিযোগে ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গো চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল বৃটেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়সহ পশ্চিমা বন্ধু রাষ্ট্রগুলো বরাবরই এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। যদিও শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে বৃটিশ প্রতিষ্ঠান রেডলাইনকে দায়িত্ব দেয়ার পর পরিস্থিতি খানিক উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এরমধ্যে ‘বিমান ছিনতাইর চেষ্টা’র ওই ঘটনা ঘটলো।