হাতীবান্ধায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই অবাধে বালু উত্তোলন

Slider রংপুর

হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ওই এলাকায় বুড়িমারী-ঢাকা মহাসড়ক, ডাক বাংলো, জামে মসজিদ, শহীদ মিনারসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়েছে।

উপজেলা শহরে প্রকাশ্য অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হলেও রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন নীরব।

জানা গেছে, হাতীবান্ধা মূল শহর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে জেলা পরিষদের একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরটির কারণে পশ্চিম পাশে বুড়িমারী স্থল বন্দর মহাসড়কটি ভেঙ্গে যাচ্ছে।

এ অবস্থায় পুকরের ৪ পাশে পাইলিং নির্মাণ ও পুকুর খননের কাজ করছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

পুকুর খনন ও মাটি ভরাটের জন্য ভিকু মেশিন দিয়ে খননের নিয়ম থাকলেও তা না করে অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে জম-জামাট বালু ব্যবসা করছে একটি সিন্ডিকেট।

বোমা মেশিন দিয়ে মাটির ৭০-১০০ ফিট নিচে থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে পুকুরে ৫০ থেকে ১ শত গজের মধ্যে অবস্থিত পাশে বুড়িমারী স্থল বন্দর মহাসড়ক, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, নির্মাণাধীন ডাকবাংলো, জামে মসজিদসহ অসংখ্যা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।

বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন দেখেও রহস্যজনক কারণে না দেখার ভান করে চলছে। ফলে যে কোনো মুহুর্তে আরও ভেঙ্গে যেতে পারে বুড়িমারী স্থল বন্দর মহাসড়ক।

বোমা মেশিনের মালিক আমিনুর রহমান জানান, বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে জেলা প্রশাসকের অনুমতি রয়েছে।

তাই তিনি বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। তবে তিনি বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতিপত্র দেখাতে পারেনি।

জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, বোমা মেশিন দিয়ে বালু বা পাথর উত্তোলন সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি।

হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন জানান, ওই বোমা মেশিন বন্ধের জন্য উক্ত কাজের বাস্তবায়নকারী সংস্থা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বিভাগকে ইতোমধ্যে নিদের্শ দেয়া হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *