গণতন্ত্র নয়, যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিবাদীরাই কারারুদ্ধ : তথ্যমন্ত্রী

রাজনীতি

image_164204.enu-1 (2)তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, গণতন্ত্র নয় যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গীবাদীরা কারারুদ্ধ। তাদের বাঁচাতেই খালেদা জিয়ার আক্ষেপ। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এবং তার দলের লোকেরা অব্যাহত দেশে গণতন্ত্র নাই বলে চিৎকার করছে এবং গণতন্ত্র কারারুদ্ধ বলছে। বাস্তবে গণতন্ত্র নয়, যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গীবাদীরা কারারুদ্ধ। বেগম খালেদা জিয়ার আক্ষেপ গণতন্ত্রের জন্য নয়। তার এই কান্না যুদ্ধাপরাধী এবং জঙ্গিবাদীদের বাচাঁতে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি গত ৩৯ বছর ধরে ২৬ তারিখে স্বাধীনতা দিবস পালন করে আসছে। কেউ ২৭ তারিখে কেউ ২৮ তারিখে স্বাধীনতা দিবস বদলানোর প্রস্তাব করেনি। সুতরাং বিএনপি এবং খালেদা জিয়া ও তার দলের লোকেরা নিজেরা নিজেদের কথা অনুযায়ী কাজ করছেন না। তারা মিথ্যাচার করছে, ইতিহাস বিকৃতি করছে। বেগম জিয়া জঙ্গিবাদ, যুদ্ধাপরাধ আর রাজাকারের রাণী। মন্ত্রী আজ বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফে দৈনিক ভোরের কাগজের দুই দিনব্যাপী জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র ও দলের লোকেরা এই মুহূর্তে বাংলাদেশে স্বেচ্ছাচারিতা এবং ইতিহাস বিকৃতি করছে। তারা মিথ্যাচার করছে। কে জাতির পিতা এটা দেশের লক্ষ কোটি জনগণ জানেন। বঙ্গবন্ধুই জাতির পিতা, প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এ জন্যে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অবস্থায় খালেদা জিয়া এবং তাঁর পুত্রের ইতিহাস বিকৃতি পাকিস্তানিদের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এবং পঁচাত্তরের পরে মোস্তাক, জিয়া এবং সামরিক শাসকদের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। পাকিস্তানিরাই এ ধরনের মিথ্যাচার করেছে। এ ধরনের মিথ্যাচার থেকে সরে আসার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
ইনু বলেন, এ ধরনের মিথ্যাচার দিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক কার্যত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা দিবস এবং শহীদদের খাটো করছেন, অপমান করছে। এই অপমান জাতির অপমান, মুক্তিযুদ্ধের অপমান। হাসানুল হক ইনু বলেন, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ধারাকে সমুন্ন রাখতে সাংবাদিকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। গণমাধ্যমের একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা মেনেই সাংবাদিকতা করতে হবে। রাজাকার এবং মুক্তিযোদ্ধাকে এক পাল্লায় মাপা যাবে না। শিল্পী ও সাংবাদিকরা কখনই অন্যায়ের পক্ষে থাকতে পারেন না। মন্ত্রী পরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বধ্যভূমি একাত্তরে সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তী আয়োজিত দুই সপ্তাহব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *