চকবাজারের রাসায়নিক কারখানা সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের

Slider সারাদেশ


ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চকবাজার থেকে রাসায়নিক কারখানা সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পাশাপাশি পুরান ঢাকার অন্যান্য এলাকা থেকেও রাসায়নিক গুদাম সরাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

আজ শনিবার চকবাজারে চুড়িহাট্টা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

চকবাজার, চুড়িহাট্টা এলাকায় বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী তৈরির কারখানা বাড়িতে বাড়িতে। যার বেশির ভাগই ‘নকল’ বলে স্বীকার করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু, লোশন, ক্রিম তৈরি করে নামকরা কোম্পানির মোড়কে বিক্রি করেন।

গত বুধবার রাতে পুরান ঢাকার অন্যতম প্রসাধনী ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবসাকেন্দ্র চুড়িহাট্টায় আগুন লেগে ৬৭ জন নিহত হন। এলাকাটির বেশির ভাগ বাড়ির নিচে গড়ে তোলা কারখানা ও গুদামগুলোতে রয়েছে অতি দাহ্য বস্তু। আগুন লাগলে বের হওয়ারও পথ নেই। ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো এসব গলিতে ঢুকতে পারে না। গত বুধবার অগ্নিকাণ্ডে এতগুলো মানুষ মারা যাওয়ার অণ্যতম কারণ ছিল এটি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে নিহত ব্যক্তিদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা। আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা আর নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা। এসব ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই-তিন দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। এতে যে সুপারিশ করা হবে, সে অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সিটি করপোরেশনকে রাসায়নিক গুদামের তালিকা করতে বলা হয়েছে।

রাসায়নিক ছাড়াও প্লাস্টিক, প্রসাধনী, কাগজ, লোহা, কাপড়, বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস, তৈজসপত্রসহ নানা পণ্যের গুদাম রয়েছে পুরান ঢাকায়। এ ছাড়া আছে প্লাস্টিকের গুটি তৈরি, প্রসাধনী, জুতা, আঠা, যানবাহনের যন্ত্রাংশ, রাবার ও প্লাস্টিকের বিভিন্ন উপকরণ, কার্টন ইত্যাদি তৈরির কারখানা। এসব গুদাম ও কারখানায় অতি দাহ্য বস্তুর ছড়াছড়ি। বহুতল ভবনে এসবে আগুন লাগলে সরু গলির কারণে মানুষের জন্য দ্রুত বের হওয়াও কঠিন। বেশির ভাগ রাস্তা এতটাই সরু যে সেগুলোকে গলি বলাই ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *