ঢাকা: সুদানে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। একই সঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলো ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ডিক্রি জারি করে গঠন করেছেন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাতে প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে নেয়া হয়েছে একজন করে সিনিয়র কর্মকর্তাকে। তবে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়কে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সুদানে ৩০ বছর ক্ষমতায় ওমর আল বশির। গত ১৯ শে ডিসেম্বর সেখানে শুরু হয় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ।
মূল্যস্ফীতি ও অর্থের ঘাতটির কারণে এ বিক্ষোভ দ্রুত পরিণত হয় বশির বিরোধী আন্দোলনে। প্রেসিডেন্ট বশিরের এই ৩০ বছরের ক্ষমতায় তিনি এত বড় বিক্ষোভের মুখে কখনো পড়েন নি। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। পার্লামেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন সংবিধান সংশোধনীর কার্যক্রম স্থগিত রাখতে। তার এমন নির্দেশের পর বিভিন্ন শহরে রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ করছিলেন লোকজন। তারা টায়ারে আগুন জালিয়ে ক্ষোভের প্রকাশ ঘটাচ্ছেন। রাস্তা অবরোধ করে রাখছে।
অন্যদিকে টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট বশির বলেছেন, নতুন সরকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে উন্নত করার পদক্ষেপ নেবে। এ জন্য তিনি নতুন সরকারে যোগ্যতাসম্পন্ন একটি টিম বাছাই করবেন। বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি বিরোধী দলগুলোর প্রতি আন্তরিক আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আসুন জাতীয় পুনরেত্রীকরণে। দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাই এবং আলোচনা করি।
তবে সুদানের প্রধান বিরোধী দলগুলোর অন্যতম ন্যাশনাল কনসেনসাস ফোর্সেস বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বশিরের জরুরি অবস্থা ঘোষণায় আরো বেশি প্রতিবাদ হবে। প্রেসিডেন্ট জনপ্রিয় বিপ্লব দমিয়ে রাখার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তবে এই বিক্ষোভ বন্ধ হবে না। আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করে সরকারের পতন ঘটাবো।