ঢাকা: চুড়িহাট্টার ঘটনায় শোকদিবস পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আজ (শনিবার) অফিস বন্ধ সরকারি ছুটির দিন। রোববার অফিস খুললে পুরান ঢাকায় নিহতদের স্মরণে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আজ সকালে রাজধানীর বার্ন ইন্সটিটিউটে চুরিহাট্টায় আগুনে দগ্ধদের দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাদের চিকিৎসা ও সাহায্যের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
পুরান ঢাকার খাল উদ্ধারের গুরুত্ব জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় পুরনো ঢাকার ধোলাই খাল ও আশপাশে অনেক খাল ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেগুলো দখল হয়ে গেছে, স্থানীয়রা ভরাট করে ফেলার কারণে ওই এলাকায় দুর্ঘটনার সময় পানি পাওয়া যায় না। আগুন নেভানোর সময় যদি পানি না পাওয় যায়, তাহলে ফায়ার সার্ভিসের কী করার আছে? বলেন প্রধানমন্ত্রী।
পুরান ঢাকার রাস্তাগুলো প্রশস্ত করার জন্য মেয়রকে নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পুরান ঢাকার রাস্তাঘাট একেবারে সরু। সেই রাস্তায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকার কোনো উপায় নেই।
ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ওই রাস্তাগুলো প্রশস্ত করতে হবে।
আগুন নেভানোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েও ফায়ার কর্মীদের কাজ ব্যাহত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ধরনের প্রশ্ন করা থেকে সাংবাদিকদের বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের জানতে হবে কখন কি প্রশ্ন করা যায়। যখন অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা আগুন নেভানোয় ব্যস্ত, তখন যদি তাদের প্রশ্ন করা হয়, তাহলে তারা কীভাবে কাজ করবেন? এছাড়াও আগুন ও তাতে দগ্ধদের ছবি তোলার বিষয়ে সংবাদকর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। যাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে না পড়ে।
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি দগ্ধ ও আহতদের খোঁজ-খবর নেন। রোগী ও তার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে রোগীদের অবস্থা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী।
হাসপাতালে সরকার প্রধানের সঙ্গে রয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক স্বপন, প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, এমপি হাজী মো. সেলিম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. সামন্তলাল সেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৭০ জন মারা যান। আহত ও দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও প্রায় অর্ধশত লোক।