ঢাকা: গত সপ্তাহে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় দেশটির আধা সামরিক পুলিশের ৪৪ জওয়ান নিহত হওয়ার পর দিল্লি-ইসলামাবাদের শত্রুতা নতুন করে উস্কে উঠে।
পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করে। কিন্তু এই হামলায় তাদের কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি পাকিস্তানের। পাকিস্তানের দাবি উড়িয়ে দিয়ে এ হামলায় দেশটি সহযোগিতা করেছে বলে জোরালো অভিযোগ করেছে ভারত।
এদিকে পুলওয়ামায় গাড়িবহরে হামলার রেশ না কাটতেই গতকাল সোমবার স্বাধীনতাকামীদের সাথে গোলাগুলিতে মেজরসহ চার ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। পিংলান এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালায় সন্দেহভাজন যোদ্ধারা।
নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা অভিযানে মারা যায় দুই স্বাধীনতাকামী ও তাদের আশ্রয়দাতা। এদিকে সহিংসতার এসব ঘটনার মধ্যে আবার উত্তেজনা বেড়েছে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে। ইসলামাবাদকে হামলার নেপথ্যের ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করছে নয়াদিল্লি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল হুমকি দিয়েছেন, পাকিস্তানের সাথে আলোচনার সময় শেষ। এখন কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সময়। সময় মতো সুবিধাজনক উপায়ে প্রতিশোধ নিতে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে পাকিস্তানও।
এদিকে কাশ্মীরের ঘটনার বদলা হিসেবে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ অবস্থা ইতোমধ্যে অনলাইনের রূপ নিয়েছে। পাকিস্তানে সাইবার হামলার চালানোর ২৪ ঘন্টা পার না হতেই এবার পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এবার ভারতের ১০০টি ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে পাকিস্তানের হ্যাকাররা৷
ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮ টিভির খবরে বলা হয়, ১০০ সাইট হ্যাক করা ওয়েবসাইটের মধ্যে বিজেপির নাগপুরের দপ্তর ও গুজরাটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটও রয়েছে ৷ হ্যাক করা হয়েছে বিজেপি নেতা আইকে জাদেজার ব্লগও৷
এর আগে সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কলকাতা টুয়েন্টিফোর এক প্রতিবেদনে জানায়, ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের ৭০টিরও বেশি সরকারি এবং বেসরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে ভারতের হ্যাকাররা। ভারতে ভয়ঙ্কর এই হামলার পরেই বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়সল জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের ওয়েবসাইটটি খোলা যাচ্ছে না। আর তা খোলা যাচ্ছে না বিভিন্ন দেশ থেকে অভিযোগ আসছে। এটি ভারতের হ্যাকারদের কাজ বলে সন্দেহ করছে পাকিস্তান।